Uttar Pradesh: অক্সিজেন ঘাটতির নোটিশ ঝোলানোর পরেই হাসপাতাল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে FIR

অক্সিজেন ঘাটতির নোটিশ ঝোলানোর পরেই লখনউয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালের ডিরেক্টর সহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করলো উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। এর বিরুদ্ধে পালটা আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি হাসপাতালের।
যোগী আদিত্যনাথ
যোগী আদিত্যনাথফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

অক্সিজেন ঘাটতির নোটিশ ঝোলানোর একদিন পরেই লখনউয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডিরেক্টর সহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করলো উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পালটা আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ মে। লখনউয়ের গোমতীনগরের সান হাসপাতাল, একমাস আগে যাকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, নোটিশ দিয়ে অক্সিজেন ঘাটতির কথা জানিয়ে রোগীর আত্মীয়দের অন‍্যত্র রোগী সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে এই নোটিস পেয়ে রোগীদের অন‍্যত্র নিয়ে যায় তাঁদের আত্মীয়রা। ৩ মে ৪৫ শয‍্যা বিশিষ্ট ওই হাসপাতালে ৩৮ জন রোগী ভর্তি ছিল, বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা ২৮-এ দাঁড়ায়।

বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে "মিথ্যা গুজব" ছড়ানোর অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে লখনউ প্রশাসন। এর ঠিক একদিন আগে এই সান হাসপাতালেরই নোটিসের কথা উল্লেখ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছিল, "অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যু গণহত্যার থেকে কম কিছু নয়।"

গুজব ছড়ানোর কথা অস্বীকার করে সান হাসপাতালের এক আধিকারিক অখিলেশ পান্ডে জানিয়েছেন, "আমি চাই প্রশাসন এখানে আসুক এবং ৩ মে কী ঘটেছিল তা নিয়ে হাসপাতাল কর্মীদের সাথে কথা বলুক। প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে লিখিত পিটিশন দায়ের করছি আমি।"

পান্ডের অভিযোগ, "বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি আমাদের। অক্সিজেনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেই প্রশাসন বিষয়টি এড়িয়ে যায় বা কোনো উত্তর দেয়না। ড্রাগ ইন্সপেক্টরকে অক্সিজেনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বলেন, লখনউতে কোথাও কিছু পাওয়া যাচ্ছে না তো অক্সিজেন সিলিন্ডার দেব কীভাবে। হাসপাতালের অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে ওই নোটিস আমি জারি করেছিলাম কারণ আমি চাইনি আমার হাসপাতালে কেউ মারা যাক এবং অন‍্য কোথাও গিয়ে হয়তো রোগীরা তাঁদের প্রাণ বাঁচাতে পারেন তাই‌।"

সাব-ডিভিশনাল ম‍্যাজিস্ট্রেট (সদর) প্রফুল্ল ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধেও সঙ্কটের মুহূর্তে তাঁকে সাহায্য না করার অভিযোগ তোলেন অখিলেশ পান্ডে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in