Uttar Pradesh: লাগাতার মানসিক উৎপীড়নের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা দম্পতির

রাকেশকুমার, বিনোদ সিং, সুভাষ, অজয় এবং অমিতের নাম করে নোটে লেখা হয়েছে যে এরা জোর করে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। তাই মৃত্যু ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোন গতি নেই। এরাই তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সংগৃহীত
Published on

সামাজিক উৎপীড়নের জেরে বিষ খেলেন বাগপতের এক দম্পতি। তাদের একটি কোচিং সেন্টার আছে। দুজনকেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৩০ বছরের রাজীব কাশ্যপ এবং তাঁর স্ত্রী ঈশিতা বিষ খাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অভিযোগ জানিয়ে দেন।

তাঁদের দাবি, বিনা প্রমাণে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। স্থানীয় কিছু যুবক ও প্রতিবেশীরা কোচিং সেন্টারটি জোর করে বন্ধ করে দিয়েছে। ওই কোচিং সেন্টার চালিয়েই তাঁদের সংসার চলে। আয়ের অন্য কোন উপায় না থাকায় তাঁরা জীবনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ওই দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বাগপত থানার স্টেশন হাউস অফিসারকে উদ্দেশ্য করে একটি সুইসাইড নোটও লিখেছেন।

তাতে লেখা আছে গত কয়েক মাস ধরেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাঁরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। একবার রাজীবকে বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা হয়, স্ত্রী তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় ওই লোকেরা তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে।

রাকেশকুমার, বিনোদ সিং, সুভাষ, অজয় এবং অমিতের নাম করে নোটে লেখা হয়েছে যে এরা জোর করে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। তাই মৃত্যু ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোন গতি নেই। এরাই তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

৪৫ দিন আগে রাজীবের ওপর হামলা চালায় কয়েকটি ছেলে। পুলিশে অভিযোগ করলে এলাকায় শান্তিভঙ্গের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে প্রতিবেশীরা তফসিলি জাতি/উপজাতি আইন মোতাবেক এফ আই আর দায়ের করে। সে তদন্ত এখনও চলছে।

বাগপতের পুলিশ সুপার নীরজ কুমার জাদাউন জানিয়েছেন, রাজীবের বিরুদ্ধে পকসো আইনে একটি ১৩ বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত চলছে। হতে পারে ওই মামলার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এমন চরম পথ বেছে নিয়েছেন তারা।

সুপার জানিয়েছেন মহিলার অবস্থা সংকটজনক কিন্তু তাঁর স্বামী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।

- with inputs from IANS

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in