

স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা বিদ্যুৎ, সড়ক, পানীয় জল থেকে বঞ্চিত দিয়ারা গ্রামের মানুষ। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার গ্রাম দিয়ারা। এই গ্রাম এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন। নেই পাকা সড়কপথ, এমনকী, পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। অবশেষে বঞ্চিত থাকতে থাকতে ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটেছে গ্রামের বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার গ্রামের বাসিন্দারা শপথ নিয়েছেন, গ্রামে কোনও বিজেপি নেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এমনকী, অভিলম্বে দাবি পূরণ না হলে, পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন বয়কট করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। একটি নদীর মাঝে দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত এই দিয়ারা গ্রামটি। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার আশেপাশে এরকম অনেক দ্বীপ রয়েছে। যেখানে ছোট ছোট গ্রাম গড়ে উঠেছে। দিয়ারাও এমন একটি গ্রাম।
বাইরিয়া পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত চাঁদ দিয়ারা ফিরাঙ্গী তোলার এক বাসিন্দা রামবাবু গোন্দ জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও আমরা ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমাদের এই সমস্যা নিয়ে কখনও কেউ মাথা ঘামায়নি। বর্ষাকালে মাটির রাস্তায় কাঁদা জমে যায় কোমর সমান। এই অবস্থার মধ্যেই শহরের রাস্তায় পৌঁছতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় গ্রামবাসীদের। বহুবছর আগে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি লাগানো হলেও তাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি। এখনও অন্ধকারে ডুবে থাকে গ্রাম।
তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গ্রামে কোনও বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক বা অন্যান্য নেতাদের গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গ্রামের নবনির্বাচিত প্রধান বিনোদ যাদব জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন তিনি।ফিরাঙ্গী তোলাতে ৭০০ মানুষের বাস। মঙ্গলবার নিজেদের দাবি জানিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ দেখান গ্রামবাসীরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন