

গো- হত্যা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে এলাহাবাদ আদালতে আবেদন জমা পড়েছে। উল্লেখ্য, গো-হত্যার অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। সিনিয়র সাব ইনস্পেক্টর দীপক কুমার পাণ্ডে এফআইআরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছে থেকে দুটি ষাঁড়, এক বান্ডিল দড়ি, একটি হাতুড়ি, একটি ছোট ঘড়াসা ও একটি বড় ঘড়াসা, একটি পেরেক ও ৫ কেজির ১২টি প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এই ৪ জনকে জেলে রাখা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী দীলিপ কুমার যাদব। তিনি দাবি করেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনের কাছে থেকে যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা দিয়ে কখনও মামলা করা যায়না। এমনটা করে আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, অ্যাডিশনাল গভর্নমেন্ট অ্যাডভোকেট জানিয়েছেন, এইসব জিনিসপত্র ও দুটি ষাঁড় উদ্ধার হওয়া মানেই তা জবাই করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযুক্ত চার জনের কথাবার্তার ভিত্তিতেই বোঝা গিয়েছে এটি গো জবাই মামলা। সুতরাং এই এফআইআর একেবারে বৈধ।
দু'পক্ষের কথা শোনার পর আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের কাছে থেকে যে দুটি ষাঁড় উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের জবাই করা হয়নি, এমনকী তাদের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। সবটাই আলোচনা শোনার ভিত্তিতে মামলাটি সাজানো হয়েছে পুলিশের তরফে। সুতরাং, উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র ও ষাঁড় কখনই প্রাথমিকভাবে গো- হত্যা আইনের ৩ ও ৮ ধারার অন্তর্ভুক্ত নয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন