

যোগী আদিত্যনাথ সরকার উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্য জল নিগমের ১,৩০০ কর্মীর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির সরকার থাকাকালীন এই কর্মীদের নিয়োগ হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে এই কর্মীদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এখন রাজ্য জল নিগমের প্রায় ৫ হাজার ফিল্ড কর্মী এখন কাজ হারানোর ভয় পাচ্ছেন।
এইসব কর্মীদের বেশিরভাগের বয়সই ৫০ বছরের উপরে। এইসব কর্মীরা কেউ পাম্প অপারেটর, কেউ হ্যান্ড পাম্প মেশিন চালান, শ্রমিক, চৌকিদার, ড্রিলার, কমপ্রেশর চালক, টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল বিভাগে কাজ করেন। শুধু কাজ হারানোই নয়, অবসরের পর পেনশন পাওয়া নিয়েও তাঁদের মধ্যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও উত্তরপ্রদেশ জল নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল কুমার একটি রিভিউ মিটিং করেন। এই মিটিংয়ে ৫ হাজার কর্মীকে অতিরিক্ত বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে এইসব কর্মীদের বেতন ও পেনশন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে এইসব কর্মীদের পঞ্চায়েত রাজ এবং মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও ৫ মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও জল নিগমের এই কর্মীদের নতুন জায়গায় নিয়োগ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করতে শোনা যাচ্ছে না। অবসরের সময়ের ৪-৫ বছর আগেই কোনও যুক্তিগত কারণ না দেখিয়ে বা নোটিশ না দিয়েই তাঁদের অবসর নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জল নিগমের কর্মীদের।
" ৫০ বছরের বেশি বয়সী যাঁদের আর মাত্র ৫ বছর চাকরি আছে এমন প্রায় ৫০০০ হাজার কর্মীকে অতিরিক্ত ঘোষণা করা অমানবিক। আসলে সরকারের উদ্দেশ্য হল এঁদেরকে মাইনে না দেওয়া অথবা অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা।" - বলেন উত্তর প্রদেশের জলনিগম সংস্থান মজদুর ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সানেহি যাদব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন