

উত্তরপ্রদেশে চলমান করোনা কার্ফু লঙ্ঘন করায় ১৭ বছরের এক কিশোরকে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠলো দুই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। মারের জেরে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ওই দুই কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এক হোমগার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
রাজ্যের রাজধানী লখনৌ থেকে ৬৫ কিমি দূরে উন্নাওয়ের বঙ্গারমাউ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। কিশোরটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কার্ফু চলাকালীন নিজের বাড়ির সামনে সবজি বিক্রি করত কিশোরটি। কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সবজি বিক্রির সময় কার্ফু লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে নৃশংসভাবে মারধর করা হয় তাঁকে। মারের চোটে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরপরই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লখনউ রোড ক্রসিং অবরোধ করেন স্থানীয়রা। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবিও তোলেন তাঁরা।
চাপের মুখে পড়ে এই দুই কনস্টেবল ও একজন হোমগার্ডকে বরখাস্ত করার কথা জানায় পুলিশ। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, "এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে দুই কনস্টেবল ও একজন হোমগার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয়টির তদন্ত করা হবে।"
প্রসঙ্গত, করোনা প্রতিরোধে ৭ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত গোটা রাজ্যে কার্ফু জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন