

উত্তরপ্রদেশের হাথরস ধর্ষণকান্ডে খবর করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া কেরালার সাংবাদিক কাপ্পান সিদ্দিকির বিরুদ্ধে এবার “সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বিরোধী আইন” অর্থাৎ ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনায় প্রায় ৫০০০ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে কাপ্পান সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গত অক্টোবর মাসে এক দলিত কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশ জুড়ে। নির্যাতিতার মৃত্যু হয় হাসপাতালে। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেয় উত্তপ্রদেশ পুলিশ। যোগী সরকারের ভূমিকায় সারা দেশজুড়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত ৪ জন।
এই ঘটনারই খবর করতে গিয়ে গ্রেফতার হন কাপ্পান সিদ্দিকি সহ ৭ জন সাংবাদিক। পুলিশের অভিযোগ - এঁরা সবাই কেরালার উগ্রবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্টের সদস্য। সাম্প্রদায়িক অশান্তি করার উদ্দেশ্যে হাথরসে এসেছেছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়, যে সংবাদসংস্থার পরিচয় দেখিয়েছেন তাঁরা, সেটি ২ বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সেজে অশান্তি পাকানোই তাঁদের মূল লখ্য ছিল।
আপাতত কাপ্পান সিদ্দিকি মথুরার জেলে বন্দী। তাঁর আইনজীবী মধুবন দত্ত চতুর্বেদী বলেন- “৫০০০ পাতার চার্জশিট এখনও হাতে পাইনি। পেলে পরবর্তী পদক্ষেপে নেওয়া হবে”। কাপ্পান সিদ্দিকি সহ ৭ জন সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়েছে কেরালা ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস। তাঁদের দাবি, সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতিকে দিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হোক। সিদ্দিকি পপুলার ফ্রন্টের সদস্য বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যে দাবি করেছে, তা একেবারেই মিথ্যা বলে দাবি তাঁদের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন