

লখনউ, ২২ ফেব্রুয়ারি: ফের সত্য ঘটনার উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশের রক্তচক্ষু সংবাদমাধ্যকে। উন্নাওয়ে তিন দলিত বালিকাকে বিষ দিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ৮টি টুইটার হ্যান্ডেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। যার মধ্যে সাংবাদিক বরখা দত্ত-এর 'মোজো স্টোরি'-ও রয়েছে। এই মামলায় ভুল তথ্য ছড়ানোর দায়ে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উন্নাও পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এই টুইটার হ্যান্ডেলে ভুল গল্প ছড়ানো হচ্ছে। টুইটার হ্যান্ডেলগুলোতে বলা হচ্ছে, ওই তিন বালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।তাদের শেষকৃত্য পরিবারের লোকের অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছে। ঠিক যেমন হাথরাসের ঘটনায় হয়েছিল। পুলিশ এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও ধর্ষণের লক্ষণ দেখা যায়নি। এমনকী, বালিকাদের শেষকৃত্যও তাদের পরিবারের অনুমতিতেই হয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডিবিধির ১৫৩ নং, ৬৬ নং ধারায় নীলিমদত্ত, দ্যমোজোস্টোরি, জনজাদরণলাইভ, সুরজকুমারবৌদ্ধ, বিজয়আম্বেদকরইউপি, অভয়কুমারআজাদ৯৭, রাহুলদীবাকর ও ভীমসেনাসেফ-টুইটার হ্যান্ডেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। উন্নাওয়ের এসপি আনন্দ কুলকর্ণি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে একই অভিযোগে কংগ্রেসের নেতা উদিত রাজের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যদিও আগেই উদিত রাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মোজো-র তরফে জানানো হয়েছে, 'এই ঘটনার সমস্ত দিক আমরা তুলে ধরেছি।নিগৃহীত বালিকাদের পরিবারের অভিযোগও তুলে ধরা হয়েছে। এমনকী, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে পুলিশের কী কী পদক্ষেপ ছিল তাও তুলে ধরা হয়েছে।যদি এই মামলাটি করা হয়, তাহলে আমরা আমাদের সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় আদালতে যাবো।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন