

বিভিন্ন ঘটনার জেরে বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকে যোগী-রাজ্য। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যে চলছে কার্ফু। উত্তরপ্রদেশেও চলছে কার্ফু। সেই কার্ফু অমান্য করায় নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে এল। কয়েকদিন আগেই করোনা কার্ফু অমান্য করায় এক কিশোরকে কিশোর পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, বুধবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই নৃশংসতার অভিযোগ এনেছেন রঞ্জিত নামে এক ব্যক্তি। নাভাদার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির অভিযোগ, কোভিড কার্ফুর নিয়ম ভঙ্গ করায় তাঁর হাতে পায়ে পেরেক গেঁথে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নাভাদার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, বিনা মাস্কে তিনি রাস্তায় ঘোরা-ফেরা করছিলেন। তখন এক কনস্টেবল তাঁকে মাস্ক পরতে বলেন। কিন্তু তখন ওই ব্যক্তি কনস্টেবলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
তাই তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আঘাত), ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গ করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপমান করা), ৫০৬ (অপরাধমূলক মনোভাব), ৩৩২ (কর্তব্যরত সরকারি কর্মচারীকে আঘাত করা), ৩৫৩ (সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দিতে হেনস্থা করা), ১৮৮ (কর্মচারী কর্মচারীর নির্দেশ অমান্য) ও ২৭০ (মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়ার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ) ধারায় মামলা করা হয়, এফআইআর দায়ের হয়।
কিন্তু তারপর থেকে ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে, বুধবার ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মাকে নিয়ে বারাদরি পুলিশ স্টেশনে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান, পুলিশ তাঁর হাতে-পায়ে পেরেক গেঁথে দিয়েছে। পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরেলির এসএসপি রোহিত সিং সজ্জন জানান, গ্রেফতারি থেকে বাঁচতেই তিনি এত অভিনয় করছেন। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, উনি নিজেই হাতে পায়ে পেরেক গেঁথে দিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন