

উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগে এক এসপি সহ ১৮ জন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হল৷ ২০০৪ সালের অক্টোবরে, জালালাবাদ থানার অন্তর্গত চাচুয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা ধনপাল এবং প্রহ্লাদ, গ্যাংস্টার সারাগানা নরেশা ধীমার দলের সদস্য অভিযোগে পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত হয়।
এই ঘটনার পর ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগ এনে প্রহ্লাদের ভাই রামকীর্তি ২০১২ সালে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে শাহজাহানপুরে এক আবেদন জমা দেন। রামকীর্তির আর্জির শুনানি না হওয়ায় পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
এই মামলায় রামকীর্তির পক্ষের আইনজীবী এজাজ হাসান জানিয়েছেন, "শাহজাহানপুর আভাপালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আবেদন বিবেচনা করে, শাহজাহানপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার সুশীল কুমার সিং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাতা প্রসাদ সহ তিন সিও, এসওজি এবং ১১ জন এসএইচওর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।"
আইনজীবী আরও জানান, "আদালতে দেওয়া আবেদনে রামকীর্তি অভিযোগ করেছেন যে মৃত ধনপাল এবং প্রহ্লাদ যখন মাঠে কাজ করছিলেন সেইসময় পুলিশ তাদের গুলি করে হত্যা করে। এর পরে, পুলিশ তাদের কাঁধে বন্দুক ঝুলিয়ে রাখে এবং তার কোমরে কার্তুজের বাক্স বেঁধে দেয়।"
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়ো এনকাউন্টার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। রামকীর্তির অভিযোগ, পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আর কে সিং, সুশীল কুমার সিং এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, আদালত জালালাবাদ থানায় তৎকালীন এসপি, অতিরিক্ত এসপি, সিও এবং একাধিক এসএইচও সহ ১৮ জন পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন