উন্নাও: বালিতে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ! ফের প্রশ্নের মুখে যোগী প্রশাসন

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গেরুয়া কাপড়ে মোড়া একের পর এক মৃতদেহ বালির মধ্যে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। দেহগুলি সব করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ কিনা, প্রশাসনের তরফে থেকে তা স্পষ্ট জানানো হয়নি।
উন্নাও: বালিতে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ! ফের প্রশ্নের মুখে যোগী প্রশাসন
স্থানীয়দের তোলা ছবি
Published on

নদীর তীরে ভেসে আসা মৃতদেহের ভিড় দেখে উদ্বেগ বাড়ছিলই। বেশ কয়টি রাজ্যে এরকমই চিত্র দেখা গিয়েছে। তবে এই মৃতদেহগুলি সবই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত রোগীর কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। মালদার গঙ্গাবক্ষেও মৃতদেহ ভেসে আসা নিয়ে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

অন্যদিকে বিহারের বক্সার, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, তাতে ঘুম উড়েছে সবারই। উত্তরপ্রদেশে রাজধানী লখনউ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে উন্নাওয়ে গঙ্গার দুই পারে বালিতে মৃতদেহ দেখা গেল। স্থানীয়দের মোবাইলে তোলা ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। তাতেই যোগীর রাজ্যে করোনা চিত্রটা স্পষ্ট ভাবে উঠে এসেছে। আতঙ্কও ছড়িয়েছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গেরুয়া কাপড়ে মোড়া একের পর এক মৃতদেহ বালির মধ্যে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই দেহগুলি সব করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ কিনা, প্রশাসনের তরফে থেকে তা স্পষ্ট জানানো হয়নি। জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমারের কথায়, অনেকেই দাহ না করে বালিতে সমাহিত করছেন। খবর পেয়ে আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে যান। অনেকের ধারণা, উত্তরপ্রদেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যার সঠিক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। সেই হিসেব বহির্ভূত মৃতদেহ সমাহিত করা হচ্ছে এভাবে।

অন্যদিকে, দাহ করার কাঠের অভাবের জন্য কেউ কেউ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। কয়েকদিন ধরে বিহার, উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় ভেসে এসেছে মোট ৯৬টি দেহ। বক্সারে ৭১টি ও উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে ২৫টি দেহ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় দুই রাজ্যের কাছ থেকেই এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।

এদিকে, মালদা প্রশাসনও একই আশঙ্কা করছে। দেশের সর্বত্র গঙ্গার প্রস্থ সমান নয়। যেখানে গঙ্গা এক কিলোমিটার প্রশস্ত সেখানে মৃতদেহ ভেসে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে মালদা প্রশাসন। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবাই মিলে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা করছেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in