Unemployment: লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে গ্রাম ও শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনীতির উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে উঠেছে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। আমজনতা পকেট বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

ত দু'বছরে করোনার দাপটে গোটা বিশ্বেই অর্থনীতি বেহাল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফলে আশা ছিল যে, অর্থনীতি ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যানে উদ্বেগ বাড়ল।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহারাঞ্চলে বেকারত্বের হার তার আগের সপ্তাহের থেকে বেড়ে ফের ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। দেশে সার্বিক ভাবে তা ৮.৪৩ শতাংশ। ১০ এপ্রিল যে সপ্তাহ শেষ হয়, ওই সপ্তাহে তা ছিল ৭.৩৬ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনীতির উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে উঠেছে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। আমজনতা পকেট বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি এবার প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে শিল্পও। সার্বিক চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি খরচে রাশ টানতে বহু সংস্থা উৎপাদন এবং পরিষেবায় কাটছাঁট করছে। ফলে কোথাও কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না, কোথাও চলছে ছাঁটাই। কিন্তু কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা সাপ্তাহিক বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে মূল্যবৃদ্ধিকেই দায়ী করেছেন।
তাঁদের মতে, মূল্যবৃদ্ধির জেরে পণ্য-পরিষেবার চাহিদা কমছে। বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কায় ও কাঁচামালের চড়া দাম বাড়ায় বহু সংস্থা উৎপাদন কমাচ্ছে। পরিষেবার খরচে রাশ টানছে অনেকে। ফলে ছাঁটাই হচ্ছেন কর্মী। যারা কর্মী বাড়াবে ঠিক করেছিল, তারা তা বন্ধ রেখেছে।

এছাড়াও, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীনে ফের কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে পণ্যের জোগান প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি ও কাঁচামালের আকাশছোঁয়া দাম। ফলে মূলত শহরাঞ্চলে পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদন বা পরিষেবা দিতে পারছে না। প্রকল্পের গতি ধীর হচ্ছে। কিন্তু জ্বালানি বা কাঁচামালের খরচ নিয়ন্ত্রণের উপায় না থাকায়, কর্মীদের খরচে রাশ টানতে হচ্ছে। ছাঁটাই হচ্ছে কিংবা নিয়োগ বন্ধ। ফলে বেকারত্ব মাথাচাড়া দিচ্ছে।

ছবি - প্রতীকী
RSS: বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ RSS-এর

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in