শহরের বেকারত্বের হার পৌঁছল ১০.২৩ শতাংশে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি সাপ্তাহিক বেকারির যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্ট বলছে, বেকারত্ব উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। লকডাউন উঠে গিয়ে সব স্বাভাবিক হয়ে গেলেও শিল্প, বাণিজ্যে নতুন করে কোনও কর্মসংস্থান হয়নি। পাশাপাশি কলকারখানায় ছাঁটাই অব্যাহত।
জুলাইয়ে বেকারত্বের হার বাড়তে থাকে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে থেকে তা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। ১ আগস্ট বেকারির হার ছিল ৮.৩ শতাংশ, ৮ আগস্ট ৯.৯৬ শতাংশ এবং ১৫ আগস্ট ১০.২৪ শতাংশ। একই সময় গ্রামে বেকারি হার বেড়েছে যথাক্রমে ৭.১৮, ৭.২৭, ৭.২৮। গ্রাম ও শহর মিলে তিন সপ্তাহে বেকারির হার যথাক্রমে ৮.১, ৮.২, ৮.৩ শতাংশ।
ভারতের বেকারের হার বৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জানিয়েছে, গতবছর মহামারীতে ভারতের বেকারত্ব রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম। তবে ওই সংস্থায় বেকারির হার বৃদ্ধি শুধু করোনা পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয়েছে, তা নয়। ভারতের বেকারত্ব বৃদ্ধি হয়েছে আরও আগে থেকেই। মহামারীর আগে নোট বাতিলের জন্য ছোটখাটো অনেক কারখানাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখনই বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। সেই জায়গা থেকে ছোট শিল্পসংস্থাগুলি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
২০১৮ সালে ভারতে মহামারী ছিল না। কিন্তু অর্থনীতির হালও ভালো ছিল না। জিডিপি ছিল ৬.৮ শতাংশ। পরবর্তীতে আরও কমে দাঁড়ায় ৬.৫ শতাংশে। তারপরের বছরগুলোতে জিডিপির হার আরও ক্রমশ কমতে থাকে। সংস্থা জানাচ্ছে, সেন্টার অব ইকোনমিক ডেটা অ্যানালিসিসের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরে দেশে উৎপাদন শিল্পের উৎপাদন অর্ধেক কমে গিয়েছে। ফলে কর্মীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
২০২১ সালে এপ্রিল পর্যন্ত বেতনভোগী এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে মোট ১.২৬ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সংস্থা সুপারিশ করেছে, দেশের ক্ষুদ্র ছোট শিল্পে আর্থিক সহায়তা করতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে কর্মসংস্থানমুখী করার লক্ষ্যে চালনা করতে হবে। তবেই বেকারত্বের সংকট মিটবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।