

বিহারের ভাগলপুরে ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মাণ একটি সেতু। সূত্রের খবর, ভাগলপুরে গঙ্গার উপর প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে চার লেনের একটি সেতু নির্মাণ করছিল নীতীশ কুমার সরকার। রবিবার সন্ধ্যায় তাসের ঘরের মতো তা ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এই ঘটনার পর থেকে সেতুর গার্ডকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে চার লেনের এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। ২০১৯ সালের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, জমি অধিগ্রহণে সমস্যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি। তারপর মহামারী করোনাভাইরাস শুরু হয়ে যাওয়ায় থমকে গিয়েছিল ৩.১১ কিলোমিটারের সেতু নির্মাণের কাজ।
পরবর্তীতে ফের কাজ শুরু হলে ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল সুলতানগঞ্জের এই সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই বিপর্যয়ের ১৪ মাসের মধ্যে আবার ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ আগুয়ানি-সুলতানগঞ্জ সেতুর একাংশ।
এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এবং দোষী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ভাগলপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার সেন জানিয়েছে, ‘হ্যাঁ, আমি তথ্য পেয়েছি যে আগুয়ানি-সুলতানগঞ্জে নির্মাণাধীন সেতুর ৪-৫টি পিলার ভেঙে পড়েছে। প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’
আর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীতিশ কুমার সরকারের সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরী। অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকারে ‘দুর্নীতি প্রবল’। নীতিশ কুমারের পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিজেপি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন