করোনা আক্রান্তদের অক্সিজিনের চাহিদা মেটাতে ফোন উদ্ধবের, ভোট প্রচারে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী!

মহারাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বাংলার ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকায়, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি
উদ্ধব ঠাকরে ও নরেন্দ্র মোদি
উদ্ধব ঠাকরে ও নরেন্দ্র মোদিফাইল ছবি- সংগৃহীত
Published on

মুম্বই, ১৮ এপ্রিল: মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক। প্রয়োজন প্রচুর অক্সিজেনের। রেমডিসিভিরের মতো ওষুধেরও সংকট রাজ্যে। নিরুপায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে যোগাযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। উদ্দেশ্য ছিল, কেন্দ্রের তরফে কিছু পরিমাণ অক্সিজেন এবং রেমডিসিভির সাহায্য চাইবেন তিনি। কিন্তু, মহারাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বাংলার ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকায়, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি।

মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা নবাব মালিকের অভিযোগ,'মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বারবার রেমডিসিভির এবং অক্সিজেনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু তাঁকে জানানো হয়েছে, মোদি বাংলার ভোটপ্রচারে ব্যস্ত আছেন।' এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ,'করোনার কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, আর প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি করছেন।'

নবাব মালিকের দাবি, ভ্যাকসিনের সংশাপত্রে যেভাবে মোদির ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই করোনায় মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটেও থাকা উচিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি। মোদি যদি টিকাকরণের কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন, তাহলে মৃত্যুর দায় নেবেন না কেন? নবাব মালিকের এই অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হয়েছে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের টুইটেও। তিনি আবার বলছেন,'আশ্চর্যজনক! মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নিজের রাজ্যের জন্য অক্সিজেন চেয়ে। তাঁকে নাকি বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রচারে ব্যস্ত। পরে যোগাযোগ করবেন।'

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও। যদিও, নবাব মালিকের অভিযোগের কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা আসে কেন্দ্রের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্র মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। শুক্রবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী নিজে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in