বিদেশে টিকা পাঠাতে বাধ্য ভারতের দুই ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থা, চাপে পড়ে সাফাই বিজেপির

দলীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১.০৭ কোটি ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে ভারত।
সম্বিত পাত্র
সম্বিত পাত্রফাইল ছবি
Published on

দেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কেন টিকা বিদেশে পাঠানো হল তা নিয়ে বিরোধী আক্রমণের মুখে পড়ে অবশেষে মুখ খুলে সাফাই দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, 'ভ্যাকসিন মৈত্রি'র অংশ হিসেবে ৮৪ শতাংশ ভ্যাকসিন বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে ভ্যাকসিন নির্মাতাদের লাইসেন্স ধরে রাখার ব্যাপারও রয়েছে।

দলীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১.০৭ কোটি ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে ভারত। যার মধ্যে ৭৮.৫ লাখ ভ্যাকসিন সাতটি প্রতিবেশী দেশে পাঠানো হয়েছে। কারণ, এখন সুরক্ষিত প্রতিবেশী দরকার ভারতের। পাত্র আরও জানিয়েছেন, ২ লাখের বেশি ডোজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন সংগঠনে পাঠানো হয়েছে। যার জন্য ৬ হাজার ৬০০ জন সেনাকেও কাজে লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, আপ ও কংগ্রেস, বিশেষত রাহুল গান্ধি ভুল তথ্য প্রচার করছেন। তিনি বলতে চাইছেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার ৬.৬৩ কোটি ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন, দেশের মানুষকে না দিয়ে। ৫.৫০ কোটি ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠাতে ভারতের দুই সংস্থা বাধ্য ছিল। তাই ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠাতে হয়েছে।

পাত্র সাফাই দিয়ে আরও বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডের উপর অ্যাস্ট্রাজেনেকার স্বত্ত্ব রয়েছে। আর সেই কারণে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের একটা অংশ বিদেশে পাঠাতে বাধ্য সেরাম। অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেকের কাঁচামাল আনতে বিদেশের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। তার ভিত্তিতেই পাঠাতে হয়েছে উৎপাদিত ভ্যাকসিন।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন, ভ্যাকসিন তৈরির ফর্মুলা জানানো উচিত ভারতের দুই ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থার। যাতে দেশের অন্যান্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করতে পারে। পাত্র জানিয়েছেন, এমনটা করতে পারবে না সেরাম ইনস্টিটিউট। কারণ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার থেকে তাদের সাব লাইসেন্স নেওয়া রয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in