পেগেসাস অবৈধ নজরদারি কান্ডে সুপ্রিম কোর্টের কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করার দাবি জানালেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক এন রাম এবং শশী কুমার। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাঁরা শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, পেগেসাস কান্ডে দেশের একাধিক সাংবাদিক, আইনজীবী, সরকারের মন্ত্রী, বিরোধী নেতাদের ওপর নজরদারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের কাছে করা আবেদনে আরও বলা হয়েছে – ভারত সরকার অথবা তাদের স্বীকৃত কোনো সংস্থা যদি পেগেসাস স্পাইওয়ারের লাইসেন্স নিয়ে থাকে তাহলে তাদের নাম প্রকাশ করা হোক এবং কার অনুমতি অথবা নির্দেশে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে এই নজরদারি চালানো হয়েছে তা প্রকাশ করা হোক।
আবেদনকারীদের দাবি অনুসারে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সিকিউরিটি ল্যাবে একাধিক মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সেখানে পেগেসাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এই ঘটনা কিছু গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং যেসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি।
এন রাম এবং শশী কুমারের আবেদনে জানানো হয়েছে – মিলিটারি গ্রেডের স্পাইওয়ার ব্যবহার করে নজরদারি চালানোয় নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষা, যা ভারতীয় সংবিধানের ধারা ১৪, ধারা ১৯ এবং ধারা ২১-এ অনুসারে মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে তার সরাসরি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে ২০১৭ সালে ভারত সরকার বনাম কে এস পুট্টাস্বামী মামলার রায়ের উল্লেখ করা হয়েছে।
দুই আবেদনকারী এন রাম এবং শশী কুমার শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁদের করা আবেদনে জানিয়েছেন, দ্য গার্ডিয়ান, লা মদ ও রেডিও ফ্রান্স, দ্য ওয়াশিংটন পোষ্ট ও ফ্রন্টলাইন, হারেটজ, দ্য ওয়ার সহ দেশ এবং বিদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে পেগেসাস নজরদারি কান্ড প্রসঙ্গে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ভারতের ১৪২ জনের বিরুদ্ধে পেগেসাস স্পাইওয়ার ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। যে সম্ভাব্য নজরদারি তালিকায় আছেন, সাংবাদিক, আইনজীবী, কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রী, বিরোধী রাজনীতিবিদ, সাংবিধানিক ক্ষেত্রের আধিকারিক এবং সমাজকর্মীরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।