২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর র‍্যালি ঘিরে হিংসার জের, আন্দোলন থেকে সরে এলো দুই কৃষক সংগঠন

যদিও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে এঁরা আগেই সংগঠনকে এড়িয়ে আলাদাভাবে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ায় কিষাণ সংঘর্ষ কো-অরডিনেশন কমিটি থেকে এই দুই সংগঠনকে অপসারণ করা হয়েছিলো।
লালকেল্লায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করছেন বিক্ষোভকারীরা
লালকেল্লায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করছেন বিক্ষোভকারীরাছবি সংগৃহীত

প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র‍্যাক্টর র‍্যালি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জেরে তিন কৃষি আইনের বাতিলের দাবিতে গত দু'মাস ধরে চলা আন্দোলন থেকে সরে এল দুই কৃষক সংগঠন - রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন এবং ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (ভানু)। ট্র‍্যাক্টর মার্চকে কেন্দ্র করে গতকাল যে রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছিল রাজধানী, উভয় সংগঠনই সেই ঘটনার নিন্দা করেছে।

সংবাদমাধ্যমের সামনে রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠনের নেতা ভি এম সিং বলেন, গতকালের ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কৃষক আন্দোলন থেকে সরে আসছে তাঁর সংগঠন। কারণ এখন যে পথে আন্দোলন হচ্ছে তা "অগ্রহণযোগ্য"। তাঁর সংগঠনের আদর্শের সাথে তা মেলে না। তবে কৃষকদের অধিকারের দাবিতে অন‍্যভাবে লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি ও তাঁর সংগঠন, সেকথা জানিয়েছেন তিনি।

অপরদিকে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (ভানু)-র সভাপতি ভানুপ্রতাপ সিং জানিয়েছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে যা ঘটেছে তা তাঁকে অত‍্যন্ত যন্ত্রণা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, "গতকাল দিল্লিতে যা ঘটেছে সেই ঘটনা অত‍্যন্ত যন্ত্রণা দিয়েছে আমাকে। আন্দোলনের ৫৮ দিন পরে এখান থেকে সরে যাচ্ছি আমি ও আমার সংগঠন।"

গতকাল কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‍্যালিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছিল দিল্লি। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ করা-কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া-ট্রাক্টর উল্টে এক কৃষকের মৃত্যু থেকে শুরু করে প্রতিবাদী কৃষকদের পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট, লালকেল্লায় গিয়ে সেখানে ধর্মীয় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন - প্রজাতন্ত্র দিবসে এই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজধানী এইসমস্ত ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছেন আভাস পেয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, লালকেল্লায় যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কান্ড ঘটিয়েছে।

কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিলাম। দিল্লিতে পৌঁছালেও সেখানে বিক্ষোভ করার কোনো পরিকল্পনা ছিলনা আমাদের। এমনকি কোনো কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে লালকেল্লায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে ষড়যন্ত্র করে এই কান্ড ঘটানো হয়েছে।

মঙ্গলবারের ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকেন। দিল্লিতে অতিরিক্ত আধাসেনা নিয়োগ করা হয়। পঞ্জাব ও হরিয়ানা পুলিশকে হাই অ্যালার্ট জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজধানী, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in