

আইপ্যাকের সদস্যদের ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল। আইপ্যাক হল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। দলের সবাইকে হোটেল ছাড়তে বারণ করা হয়েছে। তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইপ্যাকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তৃণমূল। তার আগে আছে ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। আপাতত সেটাই পাখির চোখ। বাংলার বাইরে সংগঠনের বিস্তার ঘটাতে চাইছে দল। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় কাজ শুরু করেছে পিকের দল। কয়েকদিন আগেই আইপ্যাক ত্রিপুরায় যায়। কিন্তু রবিবার রাত থেকে আগরতলার একটি হোটেলে পিকের ২৩ জন সদস্যকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার তাঁদের আগরতলা ও অন্যান্য এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। বিজেপি সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিং জানান, বিজেপি যতই চেষ্টা করুক তৃণমূলকে আটকে রাখতে পারবে না। আইপ্যাকের কর্মীদের বাধা দিয়ে বিজেপির সরকার প্রমাণ করেছে, তারা তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে। ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে, করোনা পর্বে একসঙ্গে একদল লোক ভিনরাজ্য থেকে এখানে এসেছেন। সবাই করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন কি না, তাঁদের মধ্যে কেউ অসুস্থ রয়েছেন কি না, কোভিড বিধি মেনে সেসবই দেখা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন