সরকারি নিয়োগের দায়িত্বে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ! নতুন বিতর্কে বিপ্লব দেবের সরকার

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা
ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার
ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকারফাইল ছবি সংগৃহীত

১২ মার্চ, আগরতলা- সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের দায়িত্ব এবার নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যেই। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এম্প্লয়মেন্ট সার্ভিসেস এন্ড ম্যান পাওয়ার প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট।

শিক্ষক নিয়োগ, সরকারি চাকরি নিয়ে মাঝে মাঝে বিতর্ক তৈরি হয় এই রাজ্যে। যে কোনও রাজ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বে থাকে সে-রাজ্যের সরকারই। ত্রিপুরাতেও সেরকমটাই হত। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যেখানে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হত। কিন্তু ত্রিপুরাতে পাঁচটি সংস্থার ওপর বর্তমানে সে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্লানিং ডিপার্টমেন্ট-এর পক্ষ থেকে নরেশ বাবুর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি ও আগরতলায় পাঁচটি এজেন্সিকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। তার জন্য তারা কমিশন পাবে।

অন্যদিকে, বিভিন্ন দফতরে শূন্যপদ নিয়োগের দায়িত্ব আবার নিজেরাই পালন করছে সরকার। বিপ্লব কুমার দেব জানান, সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে ৯০ হাজারের বেশি বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে। যদিও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা।

বাম জমানায় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ হয় ত্রিপুরাতে। পরে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই শিক্ষকদের পুনরায় নিয়োগ করবে। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট ত্রিপুরা হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে দু'বছর মেয়াদ আরও বাড়ে ওই শিক্ষকদের। কিন্তু তা অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় আগরতলায়।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in