

ত্রিপুরার আগরতলায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ এবং গণধর্ষণের প্রতিবাদে সামিল হল ত্রিপুরা গণতান্ত্রিক নারী সমিতি, এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, সিপিআইএম সহ বিভিন্ন সংগঠন। বৃহস্পতিবার আগরতলায় ত্রিপুরা পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ সংগঠিত হয়।
গত সোমবার কলেজ থেকে ফেরার পথে ২০ বছরের ওই কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। সোমবার রাতে শহরের বাইরে এক নিরিবিলি অঞ্চল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহৃত ও ধর্ষিতা ছাত্রীর মা পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমবার কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্ত গাড়ি চালক গৌতম তাঁর মেয়েকে লিফট দিতে চেয়েছিল। সেই সময় ওই গাড়িতে আরও তিনজন ছিল। চলন্ত গাড়িতেই চারজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং বাইপাস রোডের ধারে এক নিরিবিলি অঞ্চলে ধর্ষিতা ছাত্রীর দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাড়ির চালক মূল অভিযুক্ত গৌতম শর্মাকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
এদিনের বিক্ষোভে মহিলা নেত্রী রমা দাস, কৃষ্ণা রক্ষিত বলেন, এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে রাজধানী শহর আগরতলাতেও মহিলারা সুরক্ষিত নন।
সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রমা দাস বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ ও চলন্ত গাড়িতে চার জন মিলে গণধর্ষণ করেছে। ঘৃণ্য এই ঘটনার পর তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন