মাণিক সরকারের কনভয়ে হামলার চেষ্টার প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ালেন বাম কর্মী সমর্থকরা। সোমবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ত্রিপুরা জুড়ে। এদিন নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরে যাবার পথে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকারের কনভয়ে হামলা করে কিছু মানুষ। এরপরেই হামলার প্রতিবাদে সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকরা রুখে দাঁড়ায়। দলীয় কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে মাণিক সরকারকে ধনপুরে নিয়ে যায়। বহু সাধারণ মানুষও ওই মিছিলে পা মেলান।
সিপিআই(এম) ত্রিপুরার অভিযোগ, এদিনের হামলার নেপথ্যে ছিলো বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা মাণিক সরকারের গাড়িতে হামলা চালায় এবং তাঁকে যেতে বাধা দেয়। ঘটনার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ। এরপর বাম কর্মী সমর্থক নেতৃত্বের বিশাল মিছিল মাণিক সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ধনপুরের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলেও সেই বাধা অমান্য করে মাণিক সরকারের নেতৃত্বে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান দলীয় কর্মীরা। সিপিআই(এম) ত্রিপুরা ফেসবুকে এক ভিডিওর সঙ্গে লেখা হয় – “বিজেপি - পুলিশের যৌথ বাধাদানকে উপেক্ষা করেই বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে”।
সোমবার ধনপুর যাবার পথে রাস্তায় মাণিক সরকারের কনভয় যেতে বাধা দেয় একদল দুষ্কৃতী। এই খবর পৌঁছতেই পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে দলে দলে সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থক রাস্তায় নেমে পড়েন। উত্তেজিত জনতা রীতিমতো তাড়া করে দুষ্কৃতীদের। ছিঁড়ে দেওয়া হয় রাস্তার পাশে থাকা বিজেপির হোর্ডিং। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পতাকা। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাইকে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকরা। গাড়ি থেকে নেমে পড়ে মাণিক সরকার দলীয় কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। দলীয় কর্মীদের ফিরে যাবার নির্দেশ দেন।
১৯৯৮ সাল থেকে টানা পাঁচবার ত্রিপুরার ধনপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন মাণিক সরকার। ২০১৮ সালে রাজ্যের শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে ৫৪.৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।