টুলকিট বিতর্কে বিজেপিকে আরো কোণঠাসা করতে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ট্যুইটে 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া'র ট্যাগ দেওয়ার দাবি তুললো কংগ্রেস। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূরযেওয়ালা চিঠি লিখে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে ১১ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভুয়ো ট্যুইটের লিঙ্ক উল্লেখ করেছেন তিনি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক মিথ্যে অভিযোগ ছড়িয়ে দিয়ে অত্যধিক রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা ভুয়ো বক্তব্য দিয়ে এই টুলকিট তৈরি করেছেন এবং তা ছড়াচ্ছেন।
ট্যুইটারকে লেখা চিঠিতে সূরযেওয়ালা যে এগারো জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম লিখেছেন তাঁরা হলেন - স্মৃতি ইরানী, পীযূষ গোয়েল, রবিশঙ্কর প্রসাদ, হর্ষবর্ধন, গিরিরাজ সিং, রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, প্রহ্লাদ যোশী, ধর্মেন্দ্র প্রধান, মুখতার আব্বাস নকভি, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং থাওড়চাঁদ গেহলট।
চিঠিতে সূরযেওয়ালা লিখেছেন, এই মন্ত্রীরাও একই ট্যুইট করেছেন, যেই ট্যুইটে 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া'র ট্যাগ দিয়েছে ট্যুইটার। তিনি লিখেছেন, "ভারত সরকারের কোনো মন্ত্রী যদি তাঁর নিজের অফিসিয়াল ভেরিফাইড ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো মন্তব্য করেন, জনগণ সেই কথাটাই অধিক বেশি বিশ্বাস করবে, এটাই সত্য। তাই মন্ত্রীদের করা এই জাতীয় সমস্ত ট্যুইটের ওপর 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া'র ট্যাগ দেওয়া আরো জরুরি হয়ে পড়েছে।"
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র প্রথম এই 'টুলকিট' পোস্ট করেন নিজের ট্যুইটারে। এরপর বাকি বিজেপি নেতারা সেই টুলকিট ট্যুইট করেন। কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্বিত পাত্রের করা ট্যুইটে ম্যানিপুলেটেড মিডিয়ার ট্যাগ দেয় ট্যুইটার। ট্যুইটারের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত সরকার ও দিল্লি পুলিশ। ম্যানিপুলেটেড মিডিয়ার ট্যাগ তোলার দাবিও জানিয়েছে সরকার।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।