
মন কী বাত অনুষ্ঠানে মোদীর মুখে উঠে আসে জরুরী অবস্থার কথা। আর সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে 'অঘোষিত জরুরী অবস্থা' বলেও দাবি করেন তিনি।
রবিবার মন কী বাতের ৯০ তম অনুষ্ঠান ছিল প্রধানমন্ত্রীর। অনুষ্ঠান চলাকালীন নরেন্দ্র মোদী ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার কথা বলেন। তাঁর মুখে শোনা যায়, সেই সময় ভারতে গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ গ্রেফতার হন, লাখ লাখ দেশবাসীর ওপর অত্যাচার করা হয়। কিন্তু তার পরেও জনগণ জরুরি অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গণতান্ত্রিক উপায়েই পুনরায় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশবাসী। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রের সৈনিক হিসাবে লড়াইয়ে সাক্ষী ও অংশীদার হওয়ার সুযোগ তাঁর হয়েছিল।
মোদীর এমন মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সীতারম ইয়েচুরি। রবিবারই তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘তখনকার মতো এখনও আমরা একই জিনিস ঘটতে দেখব। আজকের অঘোষিত জরুরী অবস্থাও প্রথমটির মতো পরাস্ত হবে। সেই সময় মনে হয়েছিল এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। কিন্তু গণতন্ত্রের ‘আচ্ছে দিন’ ফিরে আসবে। এই সংগ্রাম জারি আছে এবং পরে আরও তীব্র হবে’।
উল্লেখ্য, মোদীর এই বক্তব্য বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী অরবিন্দ নারায়ণ বলেন, ৭৫-র জরুরী অবস্থা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন অধিকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কোনো নির্দেশ ছাড়াই বিভিন্ন ঘোষণা করা হচ্ছে।
অভিযোগ, বিরোধীদের কন্ঠরোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে মোদী সরকার। বিভিন্ন উপায়ে তাদের উপরে রাষ্ট্রদোহ আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে বর্তমানে রাষ্ট্রদোহ আইন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র ক্রমাগত এই আইনের অপব্যবহার করছে। যার জন্যই সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রদোহ আইনের প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রেখেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন