

কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে দাবি করেছে, আন্দোলন চলাকালীন কৃষক মৃত্যুর কোনও তথ্য নেই তাদের কাছে।কিন্তু যন্তর মন্তরের ১৫০ মিটার দূরে যে প্রতিবাদসভা চলছে কৃষকদের, সেখানে সরকারের অন্য উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের ৮ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে 'কিষান সংসদ'-এ বসেছেন কৃষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে দুটি বিশেষ দিকের উপর নজর রেখেই আন্দোলনে গতি আনতে চাইছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। প্রথমটি হল, কিষান সংসদের ঘোষণা ও দ্বিতীয়টি হল, পিপলস হুইপ। এই পিপলস হুইপের মাধ্যমে সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে সমস্ত সাংসদকে আবেদন করা হবে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে। এছাড়াও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যর আইনি গ্যারান্টি দেওয়া।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, পঞ্জাবে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৩৭ জনের মৃত্যূ হয়েছে। কেন্দ্রের দাবির পালটা দিতে গিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করা হয়েছে এই প্রেস বিবৃ্তিতে। সেখানে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে যতজন কৃষকের মৃত্যূ হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রত্যেক সপ্তাহে এই পরিসংখ্যান আপডেট করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
২০২০ সালের অক্টোবরেই ১২ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। যেসব কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমান্তে তাদের ছবিও দেওয়া হয়েছে ব্লগে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন