

উত্তরপ্রদেশে হাথরাসের ঘটনার খবর করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানের মেডিক্যাল রেকর্ড জমা করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। জেলের মধ্যেই তাঁর করোনা সংক্রমণ হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে দিল্লির এইমসে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সাংবাদিকের পরিবার। এই আবেদনের ভিত্তিতেই শীর্ষ আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এই মেডিক্যাল রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এএস বোপান্নার নেতৃত্বের বেঞ্চ কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে এই মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের তরফে এদিন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন তুষার মেহতা। কেরল ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, কাপ্পান মথুরার জেলে বাথরুমের ভিতরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। এরপর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সুতরাং অবিলম্বে কাপ্পানকে মথুরা্র জেল থেকে দিল্লির এইমসে নিয়ে আসা হোক বলে আদালতের কাছে প্রার্থনা পর্যন্ত করা হয়। এর আগে কেরল ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস-এর তরফে কাপ্পানের মুক্তির দাবিতে হিবিয়াস করপাস আবেদন করা হয়। শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদনপত্রে সেই আবেদনও জমা করা হয়েছে।
যদিও সলিসিটর জেনারেল এই আবেদনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে জানান, এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জামিনের আবেদন করতে পারেন, কিন্তু এই হেবিয়াস করপাস আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। কাপ্পানের পক্ষে হাজির হওয়া আইনজীবী উইলস ম্যাথু জানান, আপাতত হেবিয়াস করপাসের ভিত্তিতে নয়, কাপ্পানের শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন