ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৫১০ টন অক্সিজেন মজুত, এবার ১ কোটি টিকা কেনার কথা ঘোষণা পিনরাই বিজয়নের

গোটা দেশে অক্সিজেনের হাহাকার চলছে। কোথাও কোথাও অক্সিজেনের কালোবাজারি হচ্ছে। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম কেরল।
পিনারাই বিজয়ন
পিনারাই বিজয়নফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

তৃতীয় দফার ভ্যাকসিনেশন পর্বে কোনও রকম ব্যাঘাত চায় না কেরলের এলডিএফ সরকার। তারা এক কোটি ভ্যাকসিন কিনবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৭০ লক্ষ কোভিশিল্ড এবং ৩০ লক্ষ কোভ্যাকসিন কেনা হবে। ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে বলে কেন্দ্র ঘোষণা করেছে। এই তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণে সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল এলডিএফ সরকার।

গোটা দেশে অক্সিজেনের হাহাকার চলছে। কোথাও কোথাও অক্সিজেনের কালোবাজারি হচ্ছে। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম কেরল। তারা নিজের প্রয়োজন মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে অনেকটাই। তাই অন্যান্য রাজ্যতেও সরবরাহ করা শুরু করেছে তারা। অভিনেতা, রাজনীতিবিদ চেতন কুমার ফেসবুকে লিখেছেন, আমাদের রাজ্যে অক্সিজেন নিয়ে কোনও হাহাকার নেই। গত বছরের কোভিড পরিস্থিতি থেকে কেরল শিক্ষা নিয়েছে। অক্সিজেন কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে এখন গোয়া, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতেও সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। কেরল মডেল রাজ্য।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী কেরলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছিলেন। কেরলে এখন মজুত আছে ৫১০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। হাজার মেট্রিকটন মজুত রাখার চেষ্টা করেছে সে-রাজ্যের বাম সরকার। প্রতিদিন ৩০ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করে জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালে এই মুহূর্তে ২২০ টন মেডিকেল অক্সিজেন মজুত আছে। কোভিড এবং কোভিড নয়, এমন রোগের জন্য এখন লাগছে ১১০ টন মেডিকেল অক্সিজেন। অক্সিজেন সরবরাহ করেও ৫১০ টন মজুত রাখা সম্ভব হয়েছে।

সরকারি হাসপাতালগুলোতে পরিকল্পিতভাবে তরল অক্সিজেন উৎপাদনের প্লান্ট বসানো হয়েছে। পিনারাই বিজয়নের রাজ্যে আইসিইউতে থাকা রোগীকেও অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাতে হচ্ছে না। তিরুবনন্তপুরম মেডিকেল কলেজও অক্সিজেন উৎপাদনের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এক বছরে সরকার অক্সিজেনের পরিমাণ ৫৮ শতাংশ বাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব বড় হাসপাতাল, কোভিড ফার্স্ট লাইন ট্রিটমেন্ট সেন্টার, সেকেন্ড লাইন ট্রিটমেন্ট সেন্টারে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in