

সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষক ট্র্যাক্টর প্যারেডে অশান্তির খবর সম্প্রচারের কারণে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা হয়েছে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা। এই ঘটনাকে 'অঘোষিত জরুরি অবস্থা'-র সঙ্গে তুলনা করেছেন তাঁরা।
শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া, এডিটর্স গিল্ড, ইন্ডিয়ান ওমেনস প্রেস কর্পস, দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টস এবং ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়ন সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি আনন্দ সহায় অভিযোগ করেছেন, 'বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের ধার ধারে না। সমালোচনা করলেই তাঁদের জায়গা হয় জেলে।' তিনি আরও বলেন, 'এখনকার পরিস্থিতি বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। এখন কেউ আদালতে যেতে চাইলে আদালত তাঁকে বোকা বানাবে। তারপরে কী ফল হবে তা সকলেই জানেন। জরুরির অবস্থার সময়ও সাংবাদিকদের অবস্থা এত খারাপ ছিল না। আমার মনে পড়ছে না, সে সময় কারোর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা হয়েছিল কি না।'
সহায় বেশ কিছু সাংবাদিকদের নাম বলেন, যারা এই সময়ের মধ্যে সরকারের কোপে পড়েছেন। তাঁরা হলেন, কেরলের সিদ্দিকী কাপ্পান, মণিপুরে ওয়াংখেমের কিশোর চন্দ্রা, গুজরাতের দাভাল প্যাটেল, মহারাষ্ট্রের রাহুল কুলকর্নি এবং বিনোদ দুয়া। দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টের সভাপতি এসকে পাণ্ডেও এই পরিস্থিতিকে 'অঘোষিত জরুরি অবস্থা' বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানের মুক্তি চেয়ে গত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেরলের সাংবাদিকদের সংগঠন। গত চার মাস ধরে জেলে আছেন সিদ্দিক কাপ্পান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন