রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছাঁটাই করে কেন্দ্রের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা

প্রায় হাজার টাকা দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে গ্রাহককে। কলকাতায় এখন ভর্তুকির পরিমাণ মাত্র ১৯ টাকার মত। একসময় সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪০০ টাকা ভর্তুকি ঢুকত।
রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছাঁটাই করে কেন্দ্রের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা
ছবি- সংগৃহীত
Published on

এখন রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি বাবদ ব্যাংক একাউন্টে প্রায় কিছুই ফেরত আসে না। উজ্জ্বলা যোজনাতেও একই অবস্থা। এভাবেই গ্রাহকদের ভর্তুকি ছাঁটাই করে গত কয়েক বছরে কেন্দ্র নাকি আয় করেছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। করোনা-লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জন্য আর একটু বেশি কি ভাবা যেত না! উঠছে প্রশ্ন।

ইউপিএ সরকারের আমলে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেত। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই ধারা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে যোগ করে 'গিভ ইট আপ'-ধারা। উদ্দেশ্য কেউ স্বেচ্ছায় ভর্তুকি না চাইলে বাজারদরে সিলিন্ডার কিনে ভর্তুকি ছেড়ে দিতে পারেন, যাতে সেই টাকায় গরিবদের গ্যাসের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়।

প্রকল্পটি যখন শুরু হয়, তখন সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪০০ টাকা ভর্তুকি ঢুকত। অনেকেই 'গিভ ইট আপ'-এ সাড়া দিয়েছিলেন। গত মার্চ পর্যন্ত এমন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লক্ষ। তবে সবাই যে দেশ ও দশের স্বার্থে এই প্রকল্পে নাম লিখেছেন, তা নয়। অনেকেই মোবাইল ফোনে গ্যাস বুকিং করতে গিয়ে ভুল করে ‘গিভ ইট আপ’-এর নম্বর টিপে তা খুইয়েছেন। আবার যে পরিবারে বছরে ১০ লক্ষ টাকা রোজগার, তাঁদেরও ভর্তুকির তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কেন্দ্র।

গরিব মানুষের জন্য মোদি সরকার কতটা ভাবছে, তার কিছু তথ্য প্রমাণ দেওয়া যাক। উজ্জ্বলা যোজনায় কেবল গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য কোনও খরচ লাগছে না। তারপর প্রায় হাজার টাকা দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে গ্রাহককে। কলকাতায় এখন ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ১৯ টাকা।

হিসাব বলছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত মোদি সরকার ‘গিভ ইট আপ’ থেকে ৫৭ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। ভর্তুকি ক্রমশ কমানো হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই বাবদ সরকারের খরচ করেছিল ৩৭ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে তা একধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকায়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in