'রাম মন্দির' আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে বড় আন্দোলন, VHP নেতার মন্তব্য

বিরোধী দলগুলির মতে, স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘ পরিবারের কোনও ভূমিকা ছিল না। আর তাই স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও রাম মন্দির আন্দোলনকে এগিয়ে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
সুরেন্দ্র জৈন (বামে)
সুরেন্দ্র জৈন (বামে)ফাইল চিত্র
Published on

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মনে করে, স্বাধীনতা আন্দোলন নয়। দেশের জন্য সবথেকে বড় আন্দোলন রাম মন্দির আন্দোলন। ভিএইচপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনের এহেন মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। তাঁর মতে, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পেলেও রাম মন্দির আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এসেছে। এই মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ বহু বিরোধী দল।

সুরেন্দ্র জৈনের দাবি, রাম মন্দির নির্মাণের হাত ধরেই দেশ রামরাজ্যে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। এই আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চেয়েও বড়। তাঁর মতে, এই যুগ রামের। রাম মন্দির নির্মিত হলেই দেশের ভবিষ্যৎ আরও মজবুত হবে। মন্দিরের তহবিল গড়তে যে দান অভিযান হয়েছিল, তা গোটা দেশকে এক সূত্রে বেঁধেছে। তা থেকে প্রমাণিত, রামই দেশকে একজোট করতে পারেন। ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতি দেশকে বিভাজিতই করেছে বলে মত সুরেন্দ্রর।

স্বাভাবিক ভাবেই এমন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলির মতে, স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘ পরিবারের কোনও ভূমিকা ছিল না। আর তাই স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও রাম মন্দির আন্দোলনকে এগিয়ে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

এদিকে ‘সব কে রাম’ নামের এক বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অরুণ কুমারও জানিয়েছেন, রাম মন্দির আন্দোলন হিন্দু সমাজকে জাগিয়ে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, আগামী বছরের শুরুতে বিধানসভা নির্বাচন উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রচারেও গেরুয়া শিবির হাতিয়ার করেছে রাম মন্দিরকে। এই ইস্যুতেই যে বিজেপি ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ ভাবে ক্ষমতায় এলেও তারপরে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভাভিত্তিক ফলাফল খুব বেশি আশাজনক নয়। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনের পথ মসৃণ করার কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in