বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। দেশের সব রাজ্যকেই অক্সিজেনের ঘাটতির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যতিক্রম কেরলের পিনারাই বিজয়নের সরকার। তাঁদের দূরদৃষ্টির জন্য এই অভাব ভুগতে হয়নি কেরলের মানুষকে। পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশন (পিইএসও)-এর সাহায্যে কেরল সরকার পর্যাপ্ত অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারছে।
মহামারীতে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে যাতে কোনও সংকট তৈরি না হয়, তার জন্য রাজ্য সরকার এক বছর আগেই নিখুঁত পরিকল্পনা তৈরি করে নিয়েছিল। পিইএসও গত বছরের ২৩ মার্চ অক্সিজেন প্ল্যান্টের একটি সভা ডাকে। কেরলে এই মুহূর্তে ১১টি এয়ার সেপারেশন ইউনিট চালিত আছে। আর্থিক সংকটের দরুন পাঁচটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তখন পিএসও নতুন পদক্ষেপ নেয়। ভবিষ্যতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে, এই আন্দাজ করে এই ইউনিটগুলো দ্রুত অক্সিজেন তৈরির নির্দেশ দেয়। এরপরই ফের ইউনিটগুলি চালু হয়।
কিন্তু কাজ শুরু হলেও ইউনিটগুলি লকডাউনের কারণে প্রয়োজনীয় মেশিন কিনতে পারেনি। তখন পিএসও চেন্নাই থেকে তা কেনার ব্যবস্থা করে। তিন মাসের মধ্যে, ১১টি ইউনিটই কাজ শুরু করে। পেসোর নোডাল অফিসার অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন। স্বাস্থ্য দফতরের নোডাল অফিসার প্রতিটি জায়গায় অক্সিজেন সরবরাহ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতেন।
পিএসও রোগীদের সংখ্যা, বিছানা এবং অক্সিজেনের চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন উৎপাদন প্রক্রিয়া-সবটাই সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করে। স্বাস্থ্য দফতর প্রতিদিন অক্সিজেন অডিট রিপোর্ট পেসোর কাছে পাঠায়। ছোট ছোট হাসপাতালের জন্য ১০০০ লিটার অক্সিজেন ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়।
বর্তমানে, প্রতিদিন ২০৪ টন অক্সিজেন উৎপন্ন হচ্ছে। কেরালায় কেবল ৯৮.৬১ টন মেডিকেল অক্সিজেনের দরকার হয়। তাই অনায়াসেই অতিরিক্ত অক্সিজেন পড়শী রাজ্যে পাঠাতে পারছে তারা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।