Port Blair Renamed: বদলে দেওয়া হল পোর্ট ব্লেয়ারের নাম, নয়া নাম ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

People's Reporter: শাহ লেখেন, "দেশ থেকে ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন মুছে ফেলার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পরিবর্তন করে শ্রী বিজয়া পুরম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
পোর্ট ব্লেয়ার
পোর্ট ব্লেয়ারছবি - সংগৃহীত
Published on

আর পোর্ট ব্লেয়ার নয়। এবার থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানীর নাম ‘শ্রী বিজয়া পুরম’। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে নাম পরিবর্তনের কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ভারতকে ঔপনিবেশিক ছাপ মুক্ত করতে এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আর্চিবল্ড ব্লেয়ারের নামে শহরটির নামকরণ করা হয়েছিল।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রবেশ পথ পোর্ট ব্লেয়ার। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে অমিত শাহ লেখেন, "দেশ থেকে ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন মুছে ফেলার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি দেখেছেন তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজকে আমরা পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পরিবর্তন করে শ্রী বিজয়া পুরম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূর্বের নামে একটি ঔপনিবেশিক ছাপ ছিল। ‘শ্রী বিজয়া পুরম’ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অর্জিত বিজয় এবং এই লড়াইয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অনন্য ভূমিকার প্রতীক।"

শাহ আরও লেখেন, “আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ইতিহাসে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি অতুলনীয় স্থান রয়েছে। এক সময় চোল সাম্রাজ্যের নৌ ঘাঁটি হিসাবে কাজ করা দ্বীপ অঞ্চলটি আজ আমাদের কৌশলগত এবং উন্নয়নগত আকাঙ্খা পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হতে প্রস্তুত।“

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, “এখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রথম আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এছাড়াও এখানের সেলুলার জেলে বীর সাভারকর এবং অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্বাধীন দেশের জন্য সংগ্রাম করায় বন্দী ছিলেন।“ প্রসঙ্গত, পোর্ট ব্লেয়ারে রয়েছে কুখ্যাত সেলুলার জেল। একসময় সেখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য নাগরিকদের বন্দী করে রাখা হয়েছিল।

অমিত শাহের পোস্ট রিপোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, "শ্রী বিজয়া পুরম নামটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহ্যমণ্ডিত ইতিহাস ও বাসিন্দাদের বীরত্বকে সম্মান জানায়।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in