গোয়া মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে আবার মৃত ৮, গত পাঁচ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩

শনিবার টানা ৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল ওই সরকারি হাসপাতালে
গোয়া মেডিক্যাল কলেজ
গোয়া মেডিক্যাল কলেজফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

অক্সিজেনের অভাবে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু অব্যাহত। এই ঘটনায় সারাদেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চিত্রটা স্পষ্ট ধরা পড়ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শনিবার টানা ৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল ওই সরকারি হাসপাতালে। রাত ২টো থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অক্সিজেনের অভাবে ৮জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। গত পাঁচদিনে এই নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছল ৮৩-তে।

যদিও অক্সিজেনের ঘাটতি মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গোয়া মেডিক্যাল কলেজেন ডিন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করে এটা বলতে পারব না যে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতির জন্যই এই মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, ওই ৮ জন রোগী কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। যার উপশমে অক্সিজেন সরবরাহের দরকার।’ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মৃতদের পরিবার, নার্স এবং স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, ওই হাসপাতালে রাতভর অক্সিজেন সরবরাহের পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। যার প্রভাব পড়ে ১৩টি ওয়ার্ডে।

এর মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডটিতে অক্সিজেন সরবরাহ প্রায় বন্ধই হয়ে যায় ঘণ্টা দেড়েকের জন্য। পরে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাহায্যে কোনও রকমে পরিস্থিতি নিমন্ত্রণে আনা হয়। মঙ্গলবারই অক্সিজেনের অভাবে গোয়ায় মৃত্যু হয় ২৬ জন করোনা রোগীর। বুধবার মৃত্যু হয় ২১ জনের। বৃহস্পতিবার ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। আগে বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, অক্সিজেনের ঘাটতি যেন দেখা না যায় হাসপাতালে। তা সত্ত্বেও ওই হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই নিয়ে তোলপাড় দেশ। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মামলা হয়েছে। মামলার শুনানিতে বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চের সামনে গোয়া সরকার স্বীকার করেছে যে, অক্সিজেনের অভাব বা অক্সিজেনের চাপ কম থাকার জন্যই বেশ কয়েকজন মৃত্যু ঘটেছে।

গোয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ অবিলম্বে বাড়াতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, গোয়ায় সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি। ফলে আগে সেখানে অক্সিজেন দ্রুত পাঠানো হোক।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in