বাজারে ২০০০ টাকা নোটের সংকট, আসলে কারণ কী? জানুন বিস্তারিত

২০১৭ সালের, ৩১ মার্চ নাগাদ- দেশে প্রচলিত মুদ্রার মোট ৫০.২ শতাংশ ছিল ২,০০০ টাকার নোট। আর, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ নাগাদ সেই মাত্রা কমে দাঁড়িয়ে ১৩.৮ শতাংশে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

সন্ত্রাসবাদ রোধ, আর্থিক দুর্নীতি কমানো, কালোটাকা উদ্ধার এবং ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার কথা বলে, গত ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর- 'নোট বাতিল'-এর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পুরানো ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল করে, ২,০০০ টাকার নোট চালু করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে, নতুন ২ টাকা, ৫ টাকার কয়েন, এবং ১০ টাকা,২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ ও ২,০০০ টাকার নোট বাজারে এনেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)।

তবে, নোট বাতিলের ৬ বছরের মাথায় দেখা যাচ্ছে- নতুন ২,০০০ টাকার নোট বাজারে খুব একটা মিলছে না। ব্যাঙ্কেও একই অবস্থা। কারণ কী? এ নিয়ে সাম্প্রতিক কয়েকটি রিপোর্ট সামনে এসেছে।

এর মধ্যে একটি হল- ২০২০ আর্থিক বছর থেকেই উল্লেখজনক ভাবে ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এর অন্যতম কারণ হল, নোট বাতিলের জেরে বাজারে অর্থ সংকট মেটাতে ২,০০০ টাকার নোট প্রচলন করা হয়েছিল। কিন্তু, বর্তমানে (৬ বছরের মধ্যে) ছোট মূল্যের নোটের সংকুলান করতে পারায়, ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)।

জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালের, ৩১ মার্চ নাগাদ- দেশে প্রচলিত মুদ্রার মোট ৫০.২ শতাংশ ছিল ২,০০০ টাকার নোট। আর, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ নাগাদ সেই মাত্রা কমে দাঁড়িয়ে ১৩.৮ শতাংশে।

শুধু তাই নয়, বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই-ও। গত কয়েক বছরে এই নোটের গুলির সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ আর্থিক বছরের শেষে বাজারে থাকা ২,০০০ টাকার মোট মূল্য ছিল ২৭৪ কোটি টাকা। আর, ২০২২ আর্থিক বছরের শেষে তা ২১৪ কোটিতে নেমে এসেছে।

অন্য, আরেক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে- সাম্প্রতিক কালে দিল্লি, হরিয়ানায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৪০ কোটি (কালো) টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর (Income Tax Department)। এছাড়া, তালিমনাড়ুতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ কোটি (কালো) টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। আর, এই বিপুল অর্থের সিংহভাগই হল ২,০০০ টাকার নোট।

একইসঙ্গে, RBI জানিয়েছে, ২০২২ আর্থিক বছরে, বিপুল অর্থের ২,০০০ টাকার জাল নোট শনাক্ত করেছে তাঁরা। এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ শতাংশ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in