সিপিআইএম সংসদ ভি শিবদাসন (বামে)
সিপিআইএম সংসদ ভি শিবদাসন (বামে)ছবি - সংগৃহীত

লাভজনক 'সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড' বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্র, তীব্র আপত্তি বাম সাংসদের

কেরলের এই সাংসদের বক্তব্য, কোভিডের সময় ৩৩৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এই সংস্থার। তাতে মুনাফা হয়েছে অনেক। এখনও সংস্থাটি হাতে যা বরাত আছে, তাতে কেন্দ্রের ৭৩০ কোটি টাকার মতো লাভ হবে।
Published on

সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের বিলগ্নীকরণের প্রতিবাদে সরব হলে বামেরা। সিপিআইএম সংসদ শিবদাসনের অভিযোগ, এটি লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। কোভিড পরিস্থিতিতে তারা যথেষ্ট মুনাফা অর্জন করেছে। তারপরও এটিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র।

কেরলের এই সাংসদের বক্তব্য, কোভিডের সময় ৩৩৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এই সংস্থার। তাতে মুনাফা হয়েছে অনেক। এখনও সংস্থাটি হাতে যা বরাত আছে, তাতে কেন্দ্রের ৭৩০ কোটি টাকার মতো লাভ হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার অধীনে রয়েছে ৪৪০ কোটি টাকারও বেশি জমি। অথচ এই লাভজনক সংস্থাকে জলের দরে মাত্র ২২০ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আর বিক্রি করা হচ্ছে, এমন একটি সংস্থাকে যার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি করার কোনও অভিজ্ঞতা নেই।

শিবদাসনের মতে, যে সংস্থার কলকারখানায় র‍্যাডারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ থেকে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বুলেট নিরোধক যন্ত্র তৈরি হত। ১৯৭৭ সালে দেশের প্রথম সৌর শক্তির ব্যাটারি এবং ১৯৭৮ সালে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি বাজারে আনে। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি টিভি নিয়ে আসে। সেই সংস্থাকে বেচে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে নীতি আয়োগ।

সংস্থাটি কিনছে নান্দাল ফিনান্স অ্যান্ড লিজিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ট্রেডিং সংস্থা। এই সংস্থার নিজস্ব কোনও মূলধনী সম্পত্তি নেই। এই বিক্রির বিষয়টি এখন ন্যাশনাল ল' ট্রাইবুনালের বিবেচনাধীন। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র বিক্রি বরাদ্দের শর্ত শর্ত লঘু করে দ্রুত বেচে দিতে চাইছে।

বাম সাংসদের অভিযোগ, এই বিক্রির পিছনে বড় কোনও দুর্নীতি কাজ করছে। দুর্নীতি রুখতে তিনি সিএজি, কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশনার এবং পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন।

সিপিআইএম সংসদ ভি শিবদাসন (বামে)
সামনেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, ঝুঁকি নিয়ে এখনই ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করতে চাইছে না কেন্দ্র

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in