সেনা ছাউনির জমিও বিক্রি করছে কেন্দ্র! জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন সীতারাম ইয়েচুরির

সেনার জমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে রয়েছে ১৭.৯৫ লক্ষ একর জমি। তারমধ্যে ১৬.৩৫ একর জমি রয়েছে দেশের ৬২টি সেনা ছাউনি বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাইরে।
সীতারাম ইয়েচুরি
সীতারাম ইয়েচুরিফাইল ছবি সংগৃহীত

সেনা ছাউনি জমিও বিক্রি করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে যে জমি রয়েছে, তা নগদে রূপান্তরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে। তাই ক্যান্টনমেন্ট ২০২০ বিল সংসদে পেশ করে তা বাস্তবায়িত করতে চাইছে।

চলতি বছরের বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির হাতে থাকা এই জমি বিক্রির কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সমমূল্যের বিকল্প জমির বিনিময়ে সেনার জমি ব্যবহারের বিধি অনুমোদন করেছে। সামাজিক উন্নয়নের কারণ দর্শানো হলেও বেসরকারি হাতে বেপরোয়া ব্যবহারের আশঙ্কাও রয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে আপোষ করছে মোদি সরকার, এমন অভিযোগও উঠেছে।

সূত্রের খবর, জমি নিয়ে খসড়া নোট তৈরি। সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে। মতামত চূড়ান্ত করে দ্রুত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পেশ করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের নেতৃত্বাধীন সামরিক কার্যক্রম বিষয়ক দফতর। সেনার জমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে রয়েছে ১৭.৯৫ লক্ষ একর জমি। তারমধ্যে ১৬.৩৫ একর জমি রয়েছে দেশের ৬২টি সেনা ছাউনি বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাইরে। এই জমির হিসেবের বাইরে আছে, হিন্দুস্তান এরোনটিক্স বা ভারত ইলেকট্রনিক্সের মত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জমি।

সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, জাতীয় সম্পদ লুট করতে নেমেছে দেশের সরকার। এবার মোদি সরকারের লক্ষ্য সেনাবাহিনীর জমি। তাহলে জাতীয় সুরক্ষা কোথায়? প্রশ্ন তাঁর। এর বিরোধিতা করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সতীশ দুয়ারের বক্তব্য, অপ্রয়োজনীয় চিহ্নিত হলে সেনার জমি বিক্রি করে আধুনিকীকরণ হতে পারে। তবে সেনাছাউনির জমি বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া উচিত নয়। এই টাকার ব্যবহারে কড়া নজরদারি প্রয়োজন।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in