করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে লকডাউনের কথা বিবেচনা করে দেখার পরামর্শ শীর্ষ আদালতের

বাসস্থান বা পরিচয়পত্রের প্রমাণের অভাবে কোনো রোগীকে যেন হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে।‌ রবিবারই এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে  লকডাউনের কথা বিবেচনা করে দেখার পরামর্শ শীর্ষ আদালতের
ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে কেন্দ্র ও রাজ‍্যগুলিকে লকডাউনের পথে হাঁটার কথা বিবেচনা করে দেখার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি বাসস্থান বা পরিচয়পত্রের প্রমাণের অভাবে কোনো রোগীকে যেন হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে।‌ রবিবারই এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকারকে, যেখানে উল্লেখ থাকবে স্থানীয় বাসস্থান বা পরিচয়পত্রের অভাবে কোনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বা প্রয়োজনীয় ওষুধ দিতে অস্বীকার করা যাবে না। সমস্ত রাজ‍্যগুলিকেও কেন্দ্রের এই নীতি মেনে চলতে হবে।

আদালত তার আদেশে বলেছে, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন হাসপাতালে বেড পাওয়াই সাধারণ নাগরিকদের কাছে বড় চ‍্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিকদের অপরিসীম কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ‍্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের প্রোটোকল তৈরি করছে। বিভিন্ন হাসপাতালের ভর্তির বিভিন্ন নিয়মের জন্য গোটা দেশ জুড়ে এক বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। তাই আমরা কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশ দিচ্ছি, দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা ব‍্যবহার করে অবলম্বন এই নিয়ে একটি নীতি প্রণয়ন করা হোক, যা জাতীয়ভাবে অনুসরণ করা হবে। এইরকম একটি নীতি নিশ্চিত করবে কোনো কিছুর অভাব থাকলেও অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসা না করিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।"

জনসমাবেশ ও সুপার স্প্রেডার ইভেন্টগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রবিবার গভীর রাতে জারি করা এই নির্দেশে জনকল্যাণের স্বার্থে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ প্রতিরোধে লকডাউন জারি করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। তবে দেশের যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর লকডাউনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, তাদের জীবন নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই লকডাউন জারি করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in