Tamilnadu: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পাওয়ারলুম শ্রমিকদের ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনে

৯ জানুয়ারী থেকে তিরুপুর এবং কোয়েম্বাটুরের শুরু হয়েছে পাওয়ারলুম শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এই আন্দোলন সোমবার দ্বিতীয় দিনের পড়েছে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ৯ জানুয়ারী থেকে তিরুপুর এবং কোয়েম্বাটুরের শুরু হয়েছে পাওয়ারলুম শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। যে ধর্মঘট রপ্তানি শিল্পকে পঙ্গু করে দিতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এই আন্দোলন সোমবার দ্বিতীয় দিনের পড়েছে।

তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর এবং তিরুপুরে কর্মরত শ্রমিকদের সংগঠন পাওয়ারলুম ইউনিট উইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সি. পালানিসামি আইএএনএসকে বলেন, "সোমানুর ও পাল্লাদমে প্রত্যক্ষভাবে ২ লাখেরও বেশি পাওয়ার লুম শ্রমিক এবং পরোক্ষভাবে ৩ লাখ নিযুক্ত আছেন এবং ২০১৪ সাল থেকে তাঁদের কোনো মজুরি পুনর্বিন্যাস করা হয়নি। শ্রমিকদের অবস্থা করুণ। তাই যারা এই পাওয়ারলুম ইউনিটগুলোকে কাজ দেয় আমরা সেই কর্তৃপক্ষ এবং তাঁতিদের চোখ খুলতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

তিনি বলেন, দক্ষ তাঁতি, চুক্তি শ্রমিক এবং তামিলনাড়ুর শ্রম বিভাগের মধ্যে ২০২১ সালের নভেম্বরে এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সময় মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। যদিও, তারপর কোনও অগ্রগতি হয়নি এবং মজুরির কোনোরকম সংশোধন কার্যকর করা হয়নি। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর এবং তিরুপুর জেলায়, ৯৫ শতাংশেরও বেশি পাওয়ার লুম চালিত হয় চুক্তি শ্রমিক অথবা চুক্তি কাজের ভিত্তিতে।

দক্ষ তাঁতিরা চুক্তি শ্রমিকদের তুলা সুতা সরবরাহ করে এবং তাদের এই সুতা থেকে কাপড় বোনার মজুরি দেওয়া হয়। গত বেশ কয়েক বছর ধরে মজুরির হারে সংশোধন প্রত্যাশিত ছিল এবং ২০২১ সালের নভেম্বরের ত্রিপাক্ষিক আলোচনার পর থেকে এক মাস অপেক্ষা করার পরেও কোনো সমাধান সূত্র না মেলায় শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হয়েছে।

২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত দক্ষ তাঁতি, তাঁত চুক্তি শ্রমিক এবং শ্রম বিভাগের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মত হয়েছিল এবং কথা ছিলো ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই তা বাস্তবায়ন ও কার্যকর করা হবে।

তিরুপুরের এক পাওয়ার লুম কর্মী এম. মনোহরন আইএএনএসকে বলেন, "আমাদের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করা হয়। আমরা তুলার সুতোকে সুন্দর উপাদানে বুনতে পারি বা সুতোকে সুন্দর কাপড়ের উপকরণে রূপান্তর করি। কিন্তু আমাদের কখনই কোন স্বীকৃতি দেওয়া হয় না এবং আমরা তা চাই না। কিন্তু আমাদের মজুরি বৃদ্ধির প্রয়োজন। যা ২০১৪ সাল থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং ত্রিপাক্ষিক আলোচনার পরেও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর যে কথা ছিলো তাও করা হয়নি। বাধ্য হয়ে আমাদের এই ধর্মঘটে নামতে হয়েছে। আশা করি এবার কর্তৃপক্ষ তাদের চোখ খুলবে।"

ছবি প্রতীকী
Tamilnadu: হিন্দুস্তান মোটরের ছাঁটাই শ্রমিকদের আন্দোলন - জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে সাময়িক প্রত্যাহার

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in