

কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। কুড্ডালোর জেলার করিভেট্টি গ্রামে শুরু হয়েছে জমি জরিপের কাজ। যদিও ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসীরা। সকলেই রাস্তায় নেমেছে প্রতিবাদ জানাতে।
জানা যাচ্ছে, লিগনাইট খনি সম্প্রসারণ এবং নতুন আরেকটি খনি চালু করতে চায় এনএলসি ইন্ডিয়া কোম্পানি। এজন্য তাঁদের অতিরিক্ত জমি প্রয়োজন। যে জমির যোগান দিতে আসরে নেমেছে তামিলনাড়ু সরকার। সরকারের এই পদক্ষেপ উদ্বেগ বাড়িয়েছে করিভেট্টি গ্রামের অধিবাসীদের। জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পিএমকে-এর যুব সংগঠনের প্রধান অম্বুমণি রামাদাস জানিয়েছেন, এনএলসি ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের দ্বিতীয় কয়লা খনির সম্প্রসারণ এবং নতুন আরেক খনির জন্য ২৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করছে। তবে, জনগণের অনুভূতি বিবেচনা না করেই এনএলসি ইন্ডিয়ার অধিগ্রহণের পদক্ষেপ নিন্দনীয় এবং তামিলনাড়ু সরকারের এই অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিন রামাদাস বলেন, ‘আজ অবধি প্রায় ২৫ হাজার পরিবার তাদের জমি এনএলসি ইন্ডিয়াকে দিয়েছে। কিন্তু, বিনিময়ে এনএলসি-র পক্ষ থেকে সব জমিদাতা পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়া হয়নি। মাত্র ১ হাজার ৮২৭ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই আবার অবসর নিয়েছেন। যেখানে, এই কোম্পানীতে চুক্তি কর্মী হিসাবে কাজ করছে সাড়ে ৩ হাজার কর্মী।’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামাদাস দাবি করেন, ‘এনএলসি ইন্ডিয়াকে আগে যারা জমি দিয়েছে তাঁদের অনেক পরিবারকে এখনও চাকরি এবং পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এই কোম্পানির জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ মেনে নেবে না পিএমকে। তামিলনাড়ু সরকারের উচিত জনগণের পক্ষে দাঁড়ানো, কর্পোরেটের পক্ষে নয়।’
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন