Tamil Nadu: নাবালিকাকে ধর্ষণের পর ভ্রূণ বিক্রি, তদন্তে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য মন্ত্রক

প্রেমিককে দিয়ে নিজের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করিয়েছে নাবালিকার মা। পরে মেয়ের গর্ভজাত ভ্রূণ ৮ বার বিক্রি করেছে নাবালিকা মা। নাবালিকার মা প্রতিটি ভ্রূণ বিক্রির জন্য প্রতিবার ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী

১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর তাঁর ভ্রূণ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তামিলনাড়ুর ইরোডে শহরে। এই ঘটনায় কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দফতর।

পুলিশের কাছে নাবালিকা অভিযোগ করেছে, 'মায়ের প্রেমিকের সঙ্গে তাঁকে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে এবং ৮ বার তার ভ্রূণ বিক্রি করা হয়েছে। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটির মা, তার প্রেমিক এবং মালতী নামে এক এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে ইরোডে থানার পুলিশ।

ঘটনার তদন্তের জন্য নাবালিকাকে তামিলনাড়ুর ইরোড, সালেম, কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দফতর।

ইরোড এবং সালেমের দুটি বড় হাসপাতালকে পুলিশের নজরদারীতে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে, কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বেসরকারী হাসপাতালগুলির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দফতরের ভিজিল্যান্স দল।

তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা সংবাদ সংস্থা আইএএনএস (IANS)-কে জানিয়েছেন, 'তদন্ত চলছে এবং আমরা ইতিমধ্যে ইরোড এবং সালেমের একটি করে বেসরকারি হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়েছি। এই হাসপাতালগুলির সঙ্গে অবৈধভাবে ভ্রূণ বিক্রির কোনও নেটওয়ার্ক আছে কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।'

পুলিশি তদন্তে কিছু বিষয় সামনে এসেছে। তাতে জানা গেছে, নাবালিকার মা প্রতিটি ভ্রূণ বিক্রির জন্য প্রতিবার ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন। আর ভ্রণ বিক্রির কমিশন হিসাবে এজেন্ট মালতীকে ৫ হাজার টাকা টাকা দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিককে দিয়ে নিজের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করিয়েছে নাবালিকার মা। পরে মেয়ের গর্ভজাত ভ্রূণ ৮ বার বিক্রি করেছে নাবালিকা মা।

সংবাদ সংস্থা IANS-কে ইরোড পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, 'হাসপাতাল এবং দালালদের একটি চক্র নাবালিকাকে শোষণ করে অর্থের জন্য ভ্রূণ বিক্রি করেছে কিনা, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।

ছবি - প্রতীকী
নিজেকে 'দেউলিয়া' ঘোষণা করা অনিল আম্বানির বিদেশে ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি! নোটিশ আয়কর দপ্তরের

GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in