
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি। ইডিকে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ‘আপনাদের আনা অভিযোগে কত জন দোষী সাব্যস্ত হয়? সাফল্যের হার কত?’
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত মিশ্র এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। এদিন পার্থর আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে জানান, নিয়োগ মামলায় পার্থর বাড়ি থেকে কোনও নগদ উদ্ধার হয়নি। যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছিলে, তিনি সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন। তাছাড়া, আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনে সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে সাত বছর। যার মধ্যে আড়াই বছর অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ সাজা কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পার্থর বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁর জামিনের আর্জি জানান তিনি।
অন্যদিকে, ইডির আইনজীবী কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু পাল্টা জানান, যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয় অর্থাৎ অর্পিতা মুখার্জি পার্থর ঘনিষ্ঠ। তাছাড়া পার্থ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে। এরপরেই ইডির আইনজীবীকে বিচারপতি সূর্য কান্ত মিশ্র প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের আনা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় কতজন? যদি এটা ৬০-৭০ শতাংশ হয়, তা হলে অন্তত বোঝা যায়। কিন্তু এই হার খুবই কম।‘
এদিন বিচারপতি মিশ্র আরও বলেন, ‘কে এই অর্পিতা? শুধু তাঁর বয়ান দিয়ে হবে না। অন্য তথ্য প্রমাণ দেখতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু ঘুষের টাকা কেউ নিজের বাড়িতে রাখে না।‘ যদিও এই মামলায় ১০০ শতাংশ সাজা ঘোষণা হবে বলে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে ইডি।
দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর বিচারপতি ভূয়ান ইডির আইনজীবীকে বলেন, ‘যদি তিনি (পার্থ) অপরাধ করে না থাকেন, তা হলে কী হবে? কত দিন তাঁকে আমরা জেলে রাখব। আড়াই-তিন বছর কম সময় নয়।‘
আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন পার্থের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে জামিনের কথা জানাতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন