Discrimination: জেলের মধ্যে চলবে না জাতিবৈষম্য - রাজ্যগুলিকে নিয়ম বদলানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

People's Reporter: এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেলের মধ্যে ঝাঁট দেওয়া বা এই ধরণের কাজ গুলি দেওয়া হয় নিচু জাতের মানুষদের। এবং রান্না করা অথবা এই ধরণের কাজ দেওয়া হয় উঁচু জাতের মানুষদের।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

জেলের মধ্যে চলবে না জাতিবৈষম্য। জেল বন্দিদের মধ্যে কাজ সমান ভাগে ভাগ করে দিতে হবে। সকলকে সমান চোখে দেখতে হবে। বৃহস্পতিবার একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি, এই নিয়ম বদলের জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। বেঁধে দেওয়া হয়েছে তিনমাসের সময়সীমাও।

অভিযোগ উঠেছে, জেলের মধ্যেও রয়েছে জাতিবৈষম্য। বন্দিদের কাজ ভাগ করে দেওয়ার সময় এই বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেলের মধ্যে ঝাঁট দেওয়া বা এই ধরণের কাজ গুলি দেওয়া হয় নিচু জাতের মানুষদের। এবং রান্না করা অথবা এই ধরণের কাজ দেওয়া হয় উঁচু জাতের মানুষদের।

প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, বন্দিদের মধ্যে কাজ ভাগ নিয়ে এই বৈষম্য সংবিধানের ১৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী। ওই ধারা অনুযায়ী, ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ, বর্ণ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে নাগরিকদের সঙ্গে কোনও বৈষম্য করা যায় না। দেশের বিভিন্ন জেলে বৈষম্যমূলক নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, তাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সমাজে সকলেই সমান হয়ে জন্মেছেন। এখানে জাত নিয়ে কোনও ভেদাভেদ থাকতে পারে না।’’

প্রধান বিচারপতি দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকে এই নিয়ম বদলের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী তিনমাসের মধ্যে এই নিয়ম বদলাতে হবে। এরপরেও যদি কোনো জেলে এই বৈষম্য থাকে, তাহলে তার দায় জেল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন, জেলের নিয়মকানুনের বই এবং রেজিস্টার থেকে ‘জাতি’ শব্দটিই মুছে দিতে হবে। বন্দিদের নাম এবং আইনি সংজ্ঞার ভিত্তিতে চিহ্নিত করতে হবে। 

এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘বন্দিদের প্রাপ্য মর্যাদা না দেওয়া আসলে ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিফলন।’’ কারাগারে প্রচলিত এই নিয়মগুলিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য আদালতের।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়
Jaynagar: শিশু ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে ধুন্ধুমার জয়নগর, পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন, পাল্টা লাঠিচার্জ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in