

লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করলো সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই মামলার শুনানি করবে। বেঞ্চে প্রধান বিচারপতির সাথে উপস্থিত থাকবেন বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলি।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিষ মিশ্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চার কৃষক ও এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়। পরে সংঘর্ষের জেরে আরো চারজন প্রাণ হারান।
শীর্ষ আদালতের তত্ত্বাবধানে মর্মান্তিক এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। অ্যাডভোকেট শিব কুমার ত্রিপাঠী এবং অ্যাডভোকেট সি এস পান্ডার লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের হত্যার গুরত্ব বিবেচনা করে, এই ঘটনায় সম্মানীয় আদালতের হস্তক্ষেপ করা বাধ্যতামূলক।
চিঠিতে আইনজীবীরা বলেছেন, ইদানিং হিংসা ছড়ানো দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট উত্তর প্রদেশ 'হিংসা-বিধ্বস্ত' এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখানে আইনের শাসন রক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফ থেকেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দ্বারা এই ঘটনার তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যদিও প্রায় ১০০ ঘন্টা হতে চললেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দেওয়ার কমপক্ষে দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে একটি Thar-কে দ্রুতগতিতে এসে কৃষকদের ওপর দিয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। যদিও এই গাড়ির চালক কে বা আর কে কে গাড়িতে ছিলেন তা ভিডিওতে স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘাতক গাড়ির পিছনে থাকা আর একটি গাড়ির যাত্রী, যিনি সংঘর্ষের কারণে আহত হয়েছেন, তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন ওই গাড়িতে মন্ত্রীর ছেলে ছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন