'এই ধরণের মানুষরা কোভিডের থেকেও ক্ষতিকর' - হরিয়ানার আদালতে রামভক্ত গোপালের জামিনের আর্জি খারিজ

রামভগত গোপাল শর্মা-র জামিনের আবেদন খারিজ হল হরিয়ানার আদালতে। শুক্রবার ১৯ বছর বয়সী এই যুবকের আবেদন খারিজ করে আদালত। সম্প্রতি হরিয়ানার পাতৌদিতে প্ররোচনামূলক ভাষণ দেবার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাম ভক্ত গোপাল
রাম ভক্ত গোপালফাইল ছবি সংগৃহীত

রাম ভক্ত গোপাল ওরফে রামভগত গোপাল শর্মা-র জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল হরিয়ানার আদালতে। শুক্রবার ১৯ বছর বয়সী এই যুবকের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। সম্প্রতি হরিয়ানার পাতৌদিতে এক সভায় প্ররোচনামূলক ভাষণ দেবার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই একই সভায় হরিয়ানার বিজেপি মুখপাত্র ও কর্নি সেনা প্রেসিডেন্ট সুরজ পাল আমুও প্ররোচনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন।

রামভগত গোপালের বক্তব্যের একটি ভিডিও রেকর্ডিং এবং তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআরের ভিত্তিতে এদিন আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায় – গোপাল শর্মা প্ররোচনামূলক এবং ঘৃণা সূচক মন্তব্য করেছে। ধর্মের নামে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে মারার কথা বলেছে।

বিচারপতি মহম্মদ সাগির এদিন বলেন – এই ঘটনায় আদালত বিস্মিত। ওই যুবকের জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত জানায় শান্তিপূর্ণ সমাজকে ধর্ম এবং জাতির ভিত্তিতে ভাগ করার ঘৃণ্য চক্রান্তের এই বক্তব্য সমাজের বিভেদকামী গোষ্ঠীকে সাহস যোগাবে।

এদিন আদালত আরও জানায় – ধর্মের ভিত্তিতে আপত্তিকর কথা বলা এখন ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে। পুলিশও এই বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে অসহায়। এই ধরণের মানুষরা ঘৃণা ছড়িয়ে অতিমারির চেয়েও দেশের ও সমাজের বেশি ক্ষতি করছে।

গত ৪ জুলাই পাতৌদির রামলীলা ময়দানে 'লাভ জিহাদ' নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়। কয়েক হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই সভার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে মুসলিম মহিলাদের অপহরণ করার জন্য দর্শকদের উৎসাহিত করছেন রাম ভক্ত গোপাল।

তাঁকে বলতে শোনা গেছে, যখন আমরা মুসলমানদের আক্রমণ করবো, তখন মুসলমানরা 'রাম রাম' বলে চিৎকার করবে। ওই একই সভায় হরিয়ানা বিজেপির মুখপাত্র সূরয পাল আমুও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও মুসলিমদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। সেই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৩০ জানুয়ারি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন এই যুবকই বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। তাঁর ‘ইয়ে লো আজাদি' ভাইরাল হয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ঘটনার পর তাঁকে ২৮ দিনের জন্য জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাঁর বয়স ১৭ বছর এবং তিনি নাবালক। সেই সময় তাঁর নামও প্রকাশ করা হয়নি।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in