গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হিংসার ঘটনায় ধৃত ‘পিঞ্জরা তোড়’-এর দুই সদস্য দেবাঙ্গনা কলিতা, নাতাশা নারওয়াল এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফ ইকবাল তানহার জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে এ বার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল জানায়, হাইকোর্টে মিনি ট্রায়াল করে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। যা মূলত ইউএপিএ আইনের মধ্যে কার্যত জল ঢেলে দেওয়ার সামিল। যার প্রভাব পরবর্তী সময়ে এনআইএ-র সমস্ত মামলার উপরে পড়বে। এমনকী, স্পেশ্যাল লিভ অ্যাপ্লিকেশন (এসএলপি) জারি করে দিল্লি পুলিশের তরফে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত নাতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা ও আসিফ ইকবাল তানহাদের ঠিকানা ও অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখার সময় চেয়েছে আদালতের কাছে। সুতরাং জামিন পাওয়ার পরও হেপাজতেই থাকতে হচ্ছে তিনজনকে।
এদিকে দিল্লি আদালতের নির্দেশ অনুসারে তিন পড়ুয়া অবিলম্বে মুক্তির জন্য সিটি আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশের তরফে অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি রবীন্দর বেদীকে জানিয়েছেন, ভেরিফিকেশন রিপোর্ট জমা করার পরই ২২ তারিখে তাঁরা হেপাজত থেকে মুক্তি পাবেন, তার আগে নয়।
সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি পুলিশের তরফে আরও আবেদন করা হয়েছে, অভিযুক্তদের আধার কার্ডের ভেরিফিকেশন রিপোর্ট জমা করার যেন নির্দেশ দেওয়া হয়। সময়ের অভাবে এই তিনজনের স্থায়ী ঠিকানার ভেরিফিকেশন করাও হয়নি বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনে উল্লেখ করেছে, দিল্লি দাঙ্গার মতো বিষয়টিকে ছাত্রদের প্রতিবাদ হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। চার্জশিট বিচার না করে সোশ্যাল মিডিয়ার বিবরণকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।