সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্বজুড়ে শেয়ার মার্কেটে ধস। সোমবার সকালে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার কেনাবেচা শুরু হতেই বড়সড় পতন ঘটলো সেনসেক্স ও নিফটির। মার্কেট খুলতেই সেনসেক্স প্রায় ২ শতাংশের বেশি কমে ৫৭৩৬৭.৪৭ পয়েন্টে পৌঁছে যায়, সাথে সাথে নিফটিও প্রায় ৪০০ পয়েন্ট কমে যায়।
শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ছিল ৫৮,৮৩৩.৮৭ পয়েন্টে। সোমবার সকালে ১,৪৬৬.৪০ পয়েন্ট নীচে নেমে সেনসেক্স খোলে ৫৭,৩৬৭.৪৭ পয়েন্টে। যা এখনও পর্যন্ত ডে লো। আজ এখনও পর্যন্ত বাজারের ডে হাই ৫৮,২০৮.৩০ পয়েন্ট। যদিও এই মুহূর্তে ৮০০-র বেশি পয়েন্ট নেমে সেনসেক্স দাঁড়িয়ে আছে ৫৮,০৩৪.৫১ পয়েন্টে।
নিফটির ক্ষেত্রে শুক্রবার বাজার বন্ধ হবার সময় নিফটি ছিল ১৭,৫৫৮.৯০ পয়েন্টে। সোমবার বাজার খোলার সময় নিফটি ৩৭০.২৫ পয়েন্ট নেমে ১৭,১৮৮.৬৫ পয়েন্টে খোলে। এই মুহূর্তে ২২৩.৮৫ পয়েন্ট নেমে নিফটি দাঁড়িয়ে আছে ১৭,৩৩৭.০৫ পয়েন্টে।
সেনসেক্সের অন্তর্গত প্রায় সমস্ত কোম্পানির শেয়ার মূল্য আজ কমে গিয়েছে। ব্যতিক্রম কেবল হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, আইটিসি এবং নেসলে। এগুলোর শেয়ার মূল্য কিছুটা বেড়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আইটি কোম্পানীগুলো। টেক মাহিন্দ্রা, ইনফোসিস, উইপ্রোর শেয়ারের দাম প্রায় ৪ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছে আজ।
গত শুক্রবার আমেরিকার ফেডারেল ব্যাংক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বাড়িয়েছে। সে দেশের স্টক মার্কেটে এর যথেষ্ঠ প্রভাব পড়েছে। আমেরিকার স্টক ইনডেক্স ডো জোনস এবং নাসডাক প্রায় ৪ শতাংশ পয়েন্ট কমে যায়। এই সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কাতেই বিশ্বজুড়ে সমস্ত স্টক মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। টোকিও, সাংহাই, হংকং এই সমস্ত এশিয়ান স্টক মার্কেটগুলির বাজার মূল্য যথেষ্ট হ্রাস পায়।
পাইকারি দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির ঝড় সামলে নিফটি ১৮০০০ পেরোনোর পর বিনিয়োগকারীদের আশা ছিলো হয়তো সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। কিন্তু ফেডারেল ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোয় আপাতত তা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।