

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার পাওনা মেটাচ্ছে না, অথচ কর্পোরেট টেলিকম সংস্থার বকেয়া কর মকুব করে দিচ্ছে কেন্দ্র। ফলে দুর্বল হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম ব্যবস্থা। শুক্রবার কেন্দ্রের টেলিকম সংস্কার নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে সিটু নেতা তপন সেন এমনটাই অভিযোগ করলেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্র টেলিকম সংস্কারের নামে বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের প্রতি চরম বঞ্চনা করছে। উল্টোদিকে কর মকুবের নামে তোফা তুলে দিচ্ছে কর্পোরেশন সংস্থাগুলির হাতে। উন্নত প্রযুক্তি আমদানিতে ঢালাও ছাড় দিচ্ছে। উন্নত ধরনের ফোর-জি প্রযুক্তি আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না সংস্থাগুলিকে। নয়া টেলিকম সংস্কারে বিদেশি কর্পোরেট সংস্থার জন্য টেলিকমের বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে, যা দেশের নিরাপদ ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করবে।
দীর্ঘদিন ধরেই বিএসএনএলের ফোর জি পরিষেবা চালু করার জন্য অনুমতি চেয়েছে বিএসএনএল। কিন্তু অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অথচ বেসরকারি সংস্থা বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি আনা এবং ব্যবহারের প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে যাচ্ছে। ফলে পিছিয়ে পড়ছে বিএসএনএল। কেন্দ্রের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পাওনা রয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা মেটানো হয়নি। উল্টে অবসরের নামের বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে।
অন্যদিকে কেন্দ্র জানিয়েছে, কেন্দ্রের কাছে বেসরকারি টেলিকম সংস্থার যে ১.৩১ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, তা আগামী চারবছর মেটাতে হবে না। চার বছর পরও মেটাতে না পারলেও কোন সমস্যা নেই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন