Bratya Basu: 'বঞ্চিত এবং যোগ্যদের পাশে থাকবে রাজ্য' - সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন ব্রাত্য বসু

People's Reporter: ব্রাত্য বসু বলেন, “আমার দায়িত্ব থেকে বলতে পারি, বঞ্চিত এবং যোগ্য যাঁরা আছেন, মানবিক ও রাজনৈতিক ভাবে তাঁদের পাশে থাকব।"
ব্রাত্য বসু
ব্রাত্য বসুছবি - সংগৃহীত
Published on

বঞ্চিত এবং যোগ্যদের পাশে থাকবে রাজ্য। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, চাকরিপ্রার্থীদের মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক বার্তার উপর ভরসা রাখার আবেদন জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়, চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই স্কুলে যাচ্ছেন না। এটা শুনে ব্রাত্য বসু বলেন, “আমার মনে হয় এই তথ্য ঠিক নয়। কাল মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কী করণীয়, তা বলে দিয়েছেন। আমাদের কাছে এমন তথ্য নেই যে, তাঁরা যাচ্ছেন না”। প্রশ্ন কড়া হয়, তাহলে কি সকল চাকরিহারারাই স্কুলে যেতে পারবেন? এর উত্তরে তিনি জানান, “আমি তো এমন কথা বলতে পারি না”।

এরপর ব্রাত্য বলেন, “আমার দায়িত্ব থেকে বলতে পারি, বঞ্চিত এবং যোগ্য যাঁরা আছেন, মানবিক ও রাজনৈতিক ভাবে তাঁদের পাশে থাকব। আপনারা যেটা বলছেন এক দলের বেতন ফেরত দেওয়া হবে, এক দলের ফেরত দেওয়া হবে না, এটা তো সুপ্রিম কোর্টের রায় দেখে বলছেন। এটা এসএসসির তথ্যের উপর বলছেন। আপনারা যে বলছেন, এসএসসি যোগ্য-অযোগ্য ভাগ করতে পারেনি, তা নয়। হয়তো বলতে পারেন, কোর্ট সম্পূর্ণত সন্তুষ্ট হয়নি”।

উল্লেখ্য, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ ২৬ হাজার জনেরই (আদতে ২৫ হাজার ৭৫২ জন) চাকরি গেল। ব্যতিক্রম শুধু একজন – ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা সোমা দাস।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াতেই কারচুপি করা হয়েছে। ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। তিনমাসের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া রাজ্য সরকারকে শুরু করতে হবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in