

আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার দাবিতে লড়াই করা স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর পর রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশই বাড়ছে। বিরোধীরা তাঁর মৃত্যুতে একহাত নিয়েছিল কেন্দ্রকে। এবার সরব হল শিবসেনা। দলের বর্ষীয়ান নেতা সঞ্জয় রাউত স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুকে মোদি সরকারের হাতে খুন বলে তোপ দাগলেন।
স্বামীর মৃত্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করতে গিয়ে এই প্রবীণ নেতা ইন্দিরা গান্ধী, হিটলার, মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী মানসিকতা টেনে আনেন। শিবসেনা মুখপত্র 'সামানা’তে সঞ্জয় রাউত লেখেন, ইন্দিরা গান্ধী জর্জ ফার্নান্ডেজকে ভয় পেয়েছিলেন। তখন অবশ্য জর্জ তরুণ নেতা ছিলেন। কিন্তু ফাদার স্ট্যান স্বামী বয়স্ক। আজকের সরকার ৮৪-৮৫ বছর বয়সী স্ট্যান স্বামী এবং ভারাভারা রাওকে ভয় পাচ্ছে। সেই কারণেই স্ট্যান স্বামীকে জেলে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকার আদপে স্বৈরাচারী এবং হিটলার-মুসোলিনির পৃষ্ঠপোষক।
প্রসঙ্গত, সুযোগ পেলেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে সময় নেন না এই শিবসেনা নেতা। লাদাখ, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য, বারবার মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন তিনি।
স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাষ্ট্রপুঞ্জ মোদি সরকারের ভূমিকার তীব্র বিরোধিতা করে। এমনিতেও বিশ্বজুড়ে নানা ইস্যুতে মুখ পুড়েছে মোদি সরকারের। সেই গুডউইল ফ্যাক্টরটা এখন আর কাজ করছে না নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রে। এর মধ্যে ইন্ধন জুগিয়েছে স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু আর তা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল, সমাজকর্মীদের সরব হয়ে ওঠা।
এই পরিস্থিতিতে সঞ্জয় রাউতের মতো নেতার এই আক্রমণ কেন্দ্রকে বাড়তি চাপে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন