

অফিসের ভিতর অথবা অফিস চত্বরে ধুমপান করা যাবে না। এই নির্দেশ অমান্য করলেই নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। সম্প্রতি সরকারি কর্মীদের জন্য এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কর্ণাটক সরকার। সূত্রের খবর, কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং ধুমপান যারা করে না, তাদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কর্মীদের মধ্যে ধুমপান সম্পর্কিত সচেতনা বৃদ্ধি করতেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস (ডিপিএআর) এই নির্দেশিকা জারি করেছে। দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অফিসের ভিতর সিগারেট, গুটকা এবং পান মশলা সেবনের ভুরিভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘এটি সরকারের নজরে এসেছে যে বিধিবদ্ধ সতর্কতা সত্ত্বেও সরকারি অফিস এবং অফিস চত্বরে তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা হচ্ছে।‘
ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, ‘সরকারী অফিস এবং অফিস চত্বরে কোনও সরকারী কর্মচারীর ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।‘ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি সরকারি অফিসে নির্দিষ্ট জায়গায় একটি ডিসপ্লে বোর্ড লাগাতে হবে যেখানে ধূমপান সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দেওয়া থাকবে।
সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত পণ্য (বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধকরণ এবং ব্যবসা ও বাণিজ্য, উৎপাদন, সরবরাহ, এবং বিতরণ নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৩ সহ বিদ্যমান আইন উল্লেখ করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, প্রকাশ্যে তামাক সেবন নিষিদ্ধ। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যদি নিষেধাজ্ঞার পর কর্মীরা নির্দেশ অমান্য করে তাহলে, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন